গুপ্তধনের সন্ধানে মধ্যপ্রদেশে নদীর তীরে চলছে জোরদার খোঁড়াখুঁড়ির

অনলাইন ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি।। মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার পার্বতী নদীর নিকটবর্তী শিবপুরা এবং গরুড়পুরা গ্রামের তট জুড়ে দিন-রাত খোঁড়াখুড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। গুপ্তধনের আশাতেই মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। খবর মেলে সম্প্রতি ওই অঞ্চল থেকে মৎস্যজীবীরা কিছু ঐতিহাসিক মুদ্রা খুঁজে পেয়েছেন। সে কথা গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিদ্যুতের বেগে ছড়িয়ে পড়ে। রাতারাতি ধন সম্পদলাভের আশায় এখন শিবপুরা এবং গরুড়পুরা গ্রামের বাসিন্দারা পার্বতী নদীর নিকটবর্তী তট জুড়ে দিন-রাত খোঁড়াখুড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোপাল শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই এলাকা।

শিবপুরা এবং গরুড়পুরা গ্রামের বাসিন্দাদের অনুমান, পার্বতী নদীর তটরেখায় গুপ্তধন লুকিয়ে আছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা কিছুদিন আগে সেই গুপ্তধন পেয়েছহেন। তাই এই মুহূর্তে এলাকার সকলেই আপাতত ওই এলাকা খুঁড়ে চলেছেন। দিন নেই, রাত নেই-খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এলাকার শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সবার মুখেই এখন কেবল গুপ্তধনের কথা। আর মনে সম্পদলাভের আশা।

রিতা যাদব নামে এলাকার এক তরুণী জানিয়েছেন, যদি কিছু পাওয়া যায়, সেই আশায় তিনি নদীর ধারে মাটি খুঁড়ছেন। রামনরেশ সিং মনে করছেন তাঁদের পরিশ্রম ব্যর্থ হবে না।  গুপ্তধন পাওয়া যাবেই! বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগের মুখে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গ্রামবাসীরা নদীর ধারে  রীতিমত তাঁবু ফেলে থাকছেন। যা করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিপদ ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি রয়েছে গণউত্তেজনার বিষয়টিও। যদি সত্যিই গুপ্তধন পাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হবে না, সে কথা জোর দিয়ে বলা যায় না।

রাজগড়ের পুলিশ সুপার  প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন যে ওই এলাকায় পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীরা কিছু ব্রোঞ্জের মুদ্রা পেয়েছিলেন। তবে গ্রামবাসীরা  কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করতে রাজি নয়। তাই গুপ্তধনের সন্ধানে আপাতত জোর কদমে ছলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?