জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনেই খেলা করছিল ওই শিশুটি। সে সময় ৪৫ বছরের রঘুনন্দন ওই শিশুটিকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একটি পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। ঘটনার জেরে ওই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে গর্দানিবাগ মহিলা পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত রঘুনন্দন কুমারকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার জেরে এলাকায় প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় মানুষ রঘুনন্দনকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য রঘুনন্দনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে রঘুনন্দনের কোনও পারিবারিক গন্ডগোল ছিল কিনা তা জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
কেন রঘুনন্দন এ ধরনের একটি ঘৃণ্য কাজ করল তা জানতে তাকে জেরা করছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন রঘুনন্দনের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন তাঁরা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন। রঘুনন্দনের যাতে কড়া শাস্তি হয় সে বিষয়ে পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে।