অভিযুক্ত চন্দ্রমোহন সিং জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই কানপুরের নগেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে স্বাতীর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার অভিযোগ তুলতে থাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার স্বাতীকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় তারা। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় চন্দ্রমোহনের। কিন্তু মেয়ে কোনও ভাবেই নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে রাজি হয়নি। এরপরই নিজের লাইসেন্সড বন্দুক থেকে পরপর তিনটি গুলি চালায় চন্দ্রমোহন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বাতীর। পরে নিজেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সব জানিয়ে দেয়। পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করেই নিজের স্কুটার চালিয়ে সটান স্থানীয় থানায় পৌঁছেও যায়।
সেখানেই গ্রেফতার করা হয় স্বাতীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চন্দ্রমোহনের কাছে থাকা বন্দুকটিও। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না স্বাতীর মা ও ভাই। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চন্দ্রমোহনকে। চন্দ্রমোহনের দাবি, মেয়েকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সে। ওইদিনের অশান্তির পরে আর থাকতে না পেরে শেষমেশ গুলি চালিয়ে মেয়েকে খুন করেছে।