আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিকে তলব ইডির

অনলাইন ডেস্ক, ৯ জানুয়ারি।। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও অর্থ তছরুপের মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী একা নন, ওই দিন আরও বেশ কয়েকজনকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

এদের মধ্যে আছেন সাংসদ বিজয় সাই রেড্ডি, অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর নিত্যানন্দ রেড্ডি, হেটেরো ড্রাগসের প্রধান শ্রীনিবাস রেড্ডি, ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ডিরেক্টর চন্দ্র রেড্ডি এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বি পি আচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯- পর্যন্ত তাঁর বাবা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি যখন ক্ষমতায় ছিলেন সে সময় মূল্য নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি অরবিন্দ ও হেটেরো ফার্মাকে প্রতি একর ৭ লক্ষ টাকা হিসেবে ৭৫ একর জমি দিয়েছিলেন।

এছাড়াও মেডক জেলায় অরবিন্দ ফার্মাকে দেওয়া অন্ধ্রপ্রদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশনের ৩০ একর জমি অবৈধভাবে ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সকে দেওয়া হয়েছিল। এই জমি হস্তান্তরের ফলে অরবিন্দ ফার্মার কর্ণধার নিত্যানন্দের ভগ্নিপতি ও ট্রাইডেন্ট লাইফ সায়েন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরৎচন্দ্র রেড্ডি প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছিলেন। এর পরিবর্তে জগন্মোহন রেড্ডির সংস্থা ‘জগতি পাবলিকেশন’ ও ‘জননী ইনফ্রা’তে নিত্যানন্দ ১০ কোটি এবং শ্রীনিবাস ১৭.২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।

২০১৬-য় আদালতে এই মামলার চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। উল্লেখ্য, অন্ধপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি কংগ্রেস। মূলত দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর কারণেই জগন্মোহনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। যদিও ২০১৯-এ বিধানসভা নির্বাচনে জগন্মোহন বিপুল ভোটে জিতে রাজ্যে সরকার গঠন করে। এখন ইডির এই চাপ মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে সামলান সেটাই দেখার।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?