করোনার কারণে দেশে চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ বিপুল বাড়ল

অনলাইন ডেস্ক, ১০ জানুয়ারি।। করোনার কারণে দেশে চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ বিপুল পরিমাণ বেড়েছে। করোনার চিকিৎসা সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই-কিট সহ বেশ কিছু বিশেষ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। সে কারণেই এই চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ বিপুল পরিমাণ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০-র জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৩০০০ টন বায়োমেডিকেল বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে দেশে। সবচেয়ে বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে অক্টোবর মাসে। উৎসবের মরসুমের এই মাসে দেশে ৫৫০০ টন চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা বর্জ্য উৎপাদনে সবচেয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র।

সকলেই জানে দেশের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এই রাজ্যেই সর্বাধিক। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে ছয় মাসে প্রায় চার হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দেশের ১৯৮ টি বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি প্ল্যান্টে এই বর্জ্য নষ্ট করা হয়েছে। এই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের মধ্যে আছে গ্লাভস, মাস্ক, পিপিই কিট, জুতোর কভার। এছাড়াও রয়েছে মানবদেহের টিস্যু, তুলো, ড্রেসিংয়ের ব্যান্ডেজ- সহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম।

এই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গুজরাত, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটকেও চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ যথেষ্টই বেশি। শুধুমাত্র ২০২০-র ডিসেম্বরে দেশে ৪৫৩০ টন চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য আদতে পরিবেশ দূষণের সহায়ক বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সে কারণে এই  চিকিৎসা বর্জ্য ঠিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য ঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে কিনা তার উপর নজর রাখতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?