শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ বিষয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, হাঁস-মুরগি এবং এ জাতীয় জ্যান্ত পাখি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। গাজিপুর মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১০ দিনের জন্য। পাশাপাশি, রোগের সংক্রমণের বিষয়ে খোঁজ রাখতে চালু করা হচ্ছে একটি ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে অসমেও। পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে হাঁস-মুরগি যাতে না ঢোকে, তেমনই নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে অসম সরকার। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এখনও তেমন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।
শেষ ৩ দিন ধরে দিল্লির ময়ূর বিহার এলাকার একটি পার্কে কাকের মড়ক দেখতে পান সাধারণ মানুষ। তারপরই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। গতকাল শনিবার, সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “দিল্লি থেকে ১০৪টি নমুনা সংগ্রহ করে জালন্ধরের পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে দিল্লিতে বার্ড ফ্লু ধরা পড়েনি। পরশু এই পরীক্ষার ফলাফল সরকারের হাতে পৌঁছবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”
এদিকে গাজিপুর মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীকদের মধ্যে অসন্তোষ জমা হয়েছে। গাজিপুর বাজার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, একমাত্র এই বাজারেই পশুচিকিৎসকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ থাকে। এখানে একমাত্র লাইসেন্স-প্রাপ্ত ফার্ম থেকেই মুরগি আসে। সমস্ত পোল্ট্রি বার্ডের নিয়মিত পরীক্ষা হয়। এমনকি শংসাপত্র ছাড়া কোনও কিছুই এখানে বিক্রি হয় না। ফলে, এই মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।