কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বললেন, মোদি সরকারের আর্থিক উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে জিডিপি। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব। মোদি সরকার দেশে এতই উন্নতি করেছে যে, আজ ঘরে ঘরে বেকার। মানুষের কোনও কাজ নেই। জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে মানুষ সামান্য চাল, ডাল কিনতে গিয়েই নাভিশ্বাস ফেলছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ওষুধ, দুধ, ডিমের মত সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।
এদিকে করোনাজনিত পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের হাতে কাজ নেই। অনেকেই কাজ করলেও বেতন কমে গিয়েছে। ফলে কিভাবে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করবেন তা নিয়ে তীব্র সংকটে ভুগছেন। মোদি সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবার সময় পায় না। দেশের লাখ লাখ কৃষক দেড় মাস ধরে দিল্লির তীব্র ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে বসে আছেন। তাঁদের কথা জানতে পারে না। তাঁদের কথা শুনতে চায় না এই সরকার। এই সরকার ও সরকারের প্রধান শুধুই নিজের ঢাক পেটাতেই ব্যস্ত।
এই সরকার শুধু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর্থিক দুরাবস্থার কথা ঠারেঠোরে মেনে নিয়েছে সরকারপক্ষও। তবে সাফাই হিসেবে সরকার করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করানোজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউন জারি করার জন্যই দেশে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবে দেশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রায় 9 শতাংশ হবে বলে সরকার আশ্বাস দিয়েছে।