জানা গিয়েছে, ২০২০ তে তিনি দুধ বিক্রি করে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা রোজগার করেছেন। প্রতি মাসে তাঁর লাভ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকারও বেশি। ২০১৯-এ তিনি প্রায় ৮৮ লাখ টাকার দুধ বিক্রি করেছিলেন। উল্লেখ্য, সংসারের হাল ফেরাতে কয়েক বছর আগে নিজের বাড়িতেই গরু পালন শুরু করেন এই মহিলা। ক্রমশ বেড়েছে গরু, মহিষের সংখ্যা। বর্তমানে নাভালবেনের ৮০টি মহিষ এবং ৪৫ টা গরু আছে। তিনি তাঁর গরু-মোষ দেখাশুনার জন্য চাকরি দিয়েছেন আরো ১৫ জনকে।
নাভালবেন জানিয়েছেন, তাঁর চার ছেলে লেখাপড়া শিখে চাকরি করছে। যদিও তিনি তাঁর চার শিক্ষিত ছেলের থেকে অনেক বেশি টাকা রোজগার করেন। জানা গিয়েছে, ২০১৯ এবং ২০২০ পরপর দু’বছর এই মহিলা দুধ বিক্রি করে গুজরাতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দু’বার লক্ষ্মী সম্মান এবং তিনবার সেরা পশুপালকের শিরোপা পেয়েছেন। সাধারণত ৬০ বছর বয়সে মানুষ কর্মজীবন থেকে অবসর নেয়। কিন্তু গুজরাতের ৬০ বছরে এই মহিলা সকলকে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জুগিয়েছেন।
নিজের চেষ্টায় রাজ্যের সেরা পশুপালক হিসেবে নাভালবেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু তিনি নিজে লাভ করছেন তা নয়, ১৫ জন কর্মীকে রীতিমত মোটা টাকা বেতনও দিয়ে চলেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাভালবেন দেশের মহিলাদের কাছে এক অনুপ্রেরণা স্বরূপ। ষাটোর্ধ্ব এই মহিলা যেভাবে দুধ বিক্রি করে নিজেকে নিজের পায়ে দাড় করিয়েছেন তা অনেকটাই অবিশ্বাস্য।