অনলাইন ডেস্ক, ৮ জানুয়ারি।। বার্নার্ড শ’র মতে ‘প্রেম হলো সিগারেটের মতো, যার আরম্ভ হলো অগ্নি দিয়ে আর শেষ পরিণতি ছাইয়েতে’। তবে প্রেমে পড়ার অনেক প্রশ্নই উঠে নিজের ভেতরে। যেমন- প্রেম কি শুধু গা ভাসিয়ে দেয়া কোনো সম্পর্ক, নাকি এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভবিষ্যত পরিকল্পনাও।
সম্পর্ক কেমন মজবুত: শুধু কি প্রেমে পড়ার জন্যই প্রেমে পড়া! নাকি সঙ্গীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক আপনার। এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর না থাকলে আপনার প্রেম বেশিদিন টিকবে না। সেইসঙ্গে প্রিয়জনের প্রতি অনুভূতিপ্রবণ হওয়া, আবেগ দেখানো, শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়গুলোও হবে অনেকটা লোক দেখানো বা নিছক অভিনয়। ফলে আদতেই যদি প্রেমে সিরিয়াস হতে চান এই বিষয়গুলো নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে।
ব্যক্তি আচরণে নেতিবাচক ভূমিকা: প্রেমে পড়ার পর আপনার আচরণে কোনো নেতিবাচকতা দেখা দিচ্ছে কী না। সেইসঙ্গে আপনি কি আপনার লক্ষ্য বা ভবিষ্যত লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছেন কী না। এই বিষয়গুলোও পরিষ্কার থাকা দরকার। যে সম্পর্ক নিজের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করে ফেলে, সেটি স্বাভাবিকভাবে বেশিদিন চালাতে পারবেন না।
পরস্পরের প্রতি ইতিবাচকতা: প্রেমের সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি কতটুকু ইতিবাচক আপনারা, সেখানে আপনার ভূমিকা কীরকম। বিষয়গুলো ভাবতে হবে। সম্পর্কে এগিয়ে নিতে দুইজনের মধ্যে প্রচেষ্টা দেখা যায় কী না, নাকি ঢিলেঢালাভাবে চলছে কিংবা ঝগড়া বিবাদের মধ্যে দিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছে। বিষয়গুলোরও উত্তর জানা থাকা দরকার।
বিশ্বস্ত হওয়া: প্রেমে নিজের প্রতি সেইসঙ্গে প্রিয়জনের প্রতি কতটুকু বিশ্বস্ত আপনি। অপরের সব ধরনের আচরণ, বিশ্বাস, মত, আদর্শ আপনি মেতে নিতে পারছেন কীনা। একইভাবে তার দিক থেকেও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে কী না। বিষয়গুলো একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যৌনজীবন সন্তুষ্ট কী না: অনেকে প্রেম থেকে আরও বেশিদূর এগিয়ে যান। একসঙ্গে থাকা কিংবা লিভ টুগেদারও করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ বিবেচনার বিষয় যে, যৌন জীবনে আপনি কিংবা আপনার সঙ্গী সন্তুষ্ট কী না। কারণ যৌথ জীবনযাপনে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতৃপ্তদায়ক যে কোনো সম্পর্কই বেশিদিন টিকে থাকে না।