অনলাইন ডেস্ক, ৮ জানুয়ারি।। আমাদের দেশে গরুকে রীতিমত শ্রদ্ধা-ভক্তি করা হয়। তবে এর পিছনে কোনও ধর্মীয় কারণ নেই। গরুর উপযোগিতার জন্যই তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয় বলে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু শুধুমাত্র গরু যে কোনও একটি পরীক্ষার সিলেবাস হয়ে উঠতে পারে তা অনেকেই কল্পনাও করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় পর্যায়ে ‘কাউ সায়েন্স’ পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হবে।
যে কোনও বয়সের পুরুষ এবং মহিলা পরীক্ষার্থী স্বেচ্ছায় এবং বিনামূল্যে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। অ্যানুয়াল ‘কাউ এক্সাম’-এর জন্য সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এই পাঠ্যক্রম দেখে অনেকেই ভিরমি খাচ্ছেন। ওই পাঠ্যক্রমে বলা হয়েছে, গোমাংস খাওয়া খারাপ কাজ। স্পষ্টভাবে বললে গরুর মাংস ভক্ষণ একেবারে মহাপাপ। কেন্দ্রীয় সরকারের ৫৪ পাতার সিলেবাসে রয়েছে নানা কাল্পনিক বিষয়। অনেক ক্ষেত্রেই যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
ওই পাঠ্যক্রমে বলা হয়েছে জার্সি গরুর থেকে দেশি গরু অনেক ভাল। দেশি গরুর দুধ হলুদ রঙের কারণ তাতে সোনা থাকে। যে সব শিশুরা ছোট থেকেই জার্সি গরুর দুধ খায় তারা পরবর্তী ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, আটিজমের মত নানা রোগের শিকার হয়। এমনকি, তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথরিয়া জানিয়েছেন, গোমাতার পবিত্রতা এবং উপকারিতার বিষয়ে সাধারণ মানুষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে প্রতিবছর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ওই পাঠ্যক্রমে বলা হয়েছে দেশি গরু অন্য যে কোন প্রজাতির গরুর তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমান। সে কারণে তারা নাকি কোনও নোংরা জায়গায় বসে না। এমনকি, দেশি গরু যে কোনও আবহাওয়ার সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। পরীক্ষার সিলেবাসে গোবর এবং গোমূত্রের উপকারিতা এবং তার পবিত্রতা নিয়েও বহু তথ্য রয়েছে।
জানানো হয়েছে, গোমূত্র চোখের রোগ, মূত্রথলি, পরিপাকতন্ত্র, শিরদাঁড়া লিভার-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা সমাধানে কাজ করে। যদিও বেশির ভাগ মানুষই সরকারের এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন। এমনকি, পরীক্ষার এই সিলেবাসকে সম্পূর্ণ আজগুবি ও কাল্পনিক তথ্য বলে উল্লেখ করেছেন।