অনলাইন ডেস্ক, ৫ জানুয়ারি।। সালমান খান ও ভাগ্যশ্রী। ১৯৮৩ সালে সুরজ বারজাতিয়ার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে তারা অভিনয় করেন। নায়ক হিসেবে ভাইজানের একক ছবি এটি, ভাগ্যশ্রীও অভিষেকে ভীষণ জনপ্রিয়তা পান।
প্রথম ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিট। তার পরেও সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার ছেড়ে বিয়ে করে ঘরকন্নায় মন দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী জানান, তাকে বিয়ে করে স্বামী হিমালয় দাসানিকে অনুরাগীদের ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়।
হিমালয় নিজেও অভিনেতা। একসময় তারা সিদ্ধান্ত নেন পরস্পরের বিপরীতে ছাড়া অভিনয় করবেন না। অচিরেই প্রমাণিত হয়, এটা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। যদিও ভাগ্যশ্রী মানতে নারাজ।
তিনি বলেন, “আমার বয়স তখন মাত্র ১৯। বুঝতে পারিনি, আমি যা পেয়েছি তা পাওয়ার জন্য মানুষকে সারা জীবন পরিশ্রম করতে হয়।”
হিমালয় প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, “বেচারাকে হয় তো আমার সব ভক্তরা গালিগালাজ করেছে। কারণ তারা ভাবে,ও আমাকে বলিউড থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যখন ওকে সবাই উল্টোপাল্টা কথা বলছিল,তখন আমিই ওকে ভালবেসেছিলাম।“
ভাগ্যশ্রী মনে করেন, সেই সময় তাদের দুজনেরই বয়স অল্প ছিল। ফলত ভাগশ্রী ‘আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু’ হবেন, এই ভাবনা কোথাও একটা হিংসার উদ্রেক করেছিল হিমালয়ের মনে। বিয়ের পর তাই সুরজ বারজাতিয়ার একাধিক কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি ছবির গল্প পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে রাজি হননি তিনি।
স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলেও ভাগ্যশ্রী জানিয়ে দিতেন, তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। তার পরেও অভিনেত্রীর কাছে ফিরে আসতেন পরিচালক। একবার নয়, সাত-সাতবার অভিনয়ের জন্য রাজি করাতে ফিরেছেন ভাগ্যশ্রীর কাছে। অভিনেত্রীকে খুশি করার জন্য প্রত্যেকবার স্ক্রিপ্টে নানা রকম পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও নানা অজুহাত দেখিয়ে সুরজকে না বলেছিলেন ভাগ্যশ্রী।
অবশ্য বেশ কিছু বছর আগে কামব্যাক করেছেন ভাগ্যশ্রী। ‘লউট আও তৃষা’ শীর্ষক ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। সামনে দেখা যাবে প্রভাসের ‘রাধে-শ্যাম’ ও কঙ্গনা রনেৌতের ‘থালাইভি’ ছবিতে।