মনের কথা লিখে দেবে ফেইসবুক!

অনলাইন ডেস্ক, ৪জানুয়ারি।। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক এমন একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যেটি নিউরন থেকে সরাসরি মানুষের ভাবনা সংগ্রহ করে অক্ষরে পরিণত করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের ভাবনা বোঝার ডিভাইস আবিষ্কার করতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটি। ২০১৭ সালে এই ধরনের প্রযুক্তির ঘোষণা দেয়ার পর এক বছরের মধ্যে ব্রেইন-মেশিন ইন্টারফেস গবেষণায় বিনিয়োগ করে তারা।

এখন ফেইসবুক বলছে, প্যারালাইসিস রোগীদের সাহায্য করতে পরীক্ষামূলকভাবে মনের কথা লেখার প্রযুক্তি আনা হচ্ছে। মস্তিষ্কের সংকেত ডিকোড করে এভাবে অক্ষরে রূপান্তর করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ছোট স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান সিটিআরএল ল্যাব রিস্টব্যান্ড জাতীয় একটি ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। তারা এখন ফেইসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের দাবি, এই ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষের ব্রেইন কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ পাবে!

বাজফিড নিউজ জানিয়েছে, ফেইসবুক তাদের বার্ষিক সভায় নতুন নিউরাল সেন্সর নিয়ে আলোচনা করেছে। ওই সভার বিস্তারিত প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি । শুধু বলা হয়েছে, কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো একটি অডিও রেকর্ডে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। দ্রুত সেটি আনার চেষ্টা চলছে।

এর আগে একাধিক প্রযুক্তিবিদ বলেছেন, এমন আবিষ্কার সত্যিই কঠিন কাজ। আর যদি ফেইসবুক করেই ফেলে তবে সেটা হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথা প্রযুক্তি ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।

এই ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার করতে প্রযুক্তি দুনিয়ায় রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কও কয়েক বছর ধরে বলছেন, তারা এমন ডিভাইস নিয়ে কাজ করছেন, যেটি প্যারালাইজড মানুষের মনের কথা পড়তে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের ওপর এই ধরনের ডিভাইস নিয়ে কাজ করা একজন বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। মাহনাজ আরবনেহে নামের ওই নারী গবেষক শেফিল্ড ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন। তিনি এই প্রক্রিয়াকে বলেছেন ‘নন-ইভ্যাসিভ টেকনিক’, যেখানে বিদ্যুৎ বাহক মাথার খুলির ওপরে পৌঁছাবে; ব্রেইনের ভেতরে নয়। এই পদ্ধতিতে রেকর্ড করা হবে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি।

এই ধরনের প্রযুক্তি কত দূর এগিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও একে কল্পবিজ্ঞান বলে মনে হতো। কিন্তু এখন বাস্তবে ধরা দিচ্ছে। নার্ভতন্ত্রের বিশেষ ব্যাধি পারকিনসন রোগীদের জন্য আমরা এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি।’

‘খুব দ্রুত বিভিন্ন ল্যাব থেকে এমন ডিভাইস বেরিয়ে যাবে। বিপ্লব ঘটতে পারে। নিউরাল ইন্টারফেস হতে যাচ্ছে যুগান্তকারী আবিষ্কার। এর মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে আমাদের ভাবের আদান-প্রদানে পরিবর্তন আসবে। পাল্টে যাবে মানুষের জীবন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?