অনলাইন ডেস্ক, ৫ জানুয়ারি।। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা! করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দেশে ছড়াল বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের পর এ বার কেরলেও শুরু হাঁসের মড়ক। কেরলের আলাপুঝা ও কোট্টায়ম জেলায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংক্রমণ রোধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আজ, মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছেন কেরলের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। কেরল প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১ হাজার ৫০০ হাঁসের মৃত্যু হয়েছে নেনদুরের একটি হাঁসের খামারে। কুট্টানন্দ এলাকার হাঁসের খামারেও বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে আরও ৩৬ হাজার হাঁস মারা হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কেরলের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কে রাজু জডানিয়েছেন, কমপক্ষে ৫০,০০০ হাঁসকে কালিং পদ্ধতির সাহায্যে এই জীবাণু সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। যদিও হাঁসপালকদের তারজন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।কয়েকদিন আগেই রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কাকের মড়ক দেখা গিয়েছিল।
সেখানেও পরীক্ষা করতে বেরিয়ে আসে, বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েই কাকের মৃত্যু হচ্ছে। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কাকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই দুই রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এলাকা নির্দিষ্ট করে সেখানে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত চিহ্নিত করার কাজ করতে চেষ্টা করছে প্রশাসন। এদিকে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কাকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই দুই রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এলাকা নির্দিষ্ট করে সেখানে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত চিহ্নিত করার কাজ করতে চেষ্টা করছে প্রশাসন। হিমাচলপ্রদেশেও এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭০০ পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু বার্ড ফ্লু-তেই হয়েছে বলে নিশ্চিক করেছে প্রশাসন।
হিমাচলের কাংড়া জেলায় সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যেই মুরগি, মাছ, মুরগির ডিম বিক্রির উপর নিধেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। জেলার ৪টি সাবডিভিশনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।