স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ জানুয়ারি।। সরকার যতদিন না পর্যন্ত কৃষকদের স্বার্থ এবং দেশবাসীর স্বার্থে নয়া আইন বাতিল করছে ততদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। প্রয়োজনে আরো আন্দোলন মজবুত করতে হবে। রাজ্যে বিজেপি সরকারও জুমলা সরকার। বেকারদের ৫০ হাজার চাকুরি প্রদান করবে বলে দীর্ঘ তিন বছরেও প্রদান করেনি এ জোট সরকার। বিজেপি নির্বাচনের আগে বলেছিল ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের স্থায়ী সমাধান করবে। কিন্তু বর্তমানে চাকরিচ্যুতদের কোন ব্যবস্থায় করছে না সরকার।
এবং বাম আমলে কৃষকদের জলসেচের যেসব মেশিন সক্রিয় ছিল, তাই এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটাই রাজ্যের বিজেপি সরকার বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। এদিকে সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন, দিল্লিতে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কৃষকদের আন্দোলন একমাস দশ দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও সরকারের কোনো রকম সদর্থক ভূমিকা নেই। দেশ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে ভারতবর্ষের পার্লামেন্টে জোরপূর্বক নয়া আইন পাস করে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের ১৫ টি রাজ্যের কৃষকরা নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে বাকি রাজ্যগুলি অর্থাৎ ২৫ টি রাজ্য আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি। সমাজের সকল অংশের মানুষ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। কৃষকরা আন্দোলনে জনসমর্থন পাচ্ছে। এই আন্দোলন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যেমন, তেমনি পুঁজিপতি সরকারের বিরুদ্ধে। আরে আন্দোলন এবং কৃষকদের সমর্থন শুধু রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। কারন মানুষ বুঝতে পারছে কৃষকদের দাসত্বের পরিণত করার জন্য তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই আন্দোলনে আরো বেশি মজবুত করতে দীর্ঘতর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন এছাড়াও গন অবস্থানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের উপনেতা বাদল চৌধুরি, প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।