অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারি।। কয়েকদিন আগে কাশ্মীরে সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে এক কিশোরের। ছেলের দেহ এলে নিজের হাতে কবর দেবেন এমনটাই ইচ্ছে বাবার। তাই পারিবারিক কবরস্থানে কবর খুঁড়ে প্রতীক্ষা করছেন বাবা। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত কিশোরের দেহ পাননি তিনি। জানা গিয়েছে পুলিশ আগেই কোনও এক অজানা জায়গায় ওই কিশোরের দেহ কবর দিয়েছে। ছেলের নিথর দেহটা শেষবারের দেখতে অধীর আগ্রহে বসে আছেন পুলওয়ামার বাসিন্দা মুস্তাক।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, আতাহার মুস্তাক নামের এক কিশোর ও তার কয়েকজন সঙ্গী সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা শ্রীনগর-বারামুলা জাতীয় সড়কে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। মেজর জেনারেল এইচএস সাহি জানিয়েছেন, তাঁরা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে বুধবার শ্রীনগর সংলগ্ন লালপোরা এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হলে তারা আচমকাই গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। এই সংঘর্ষে নিহত হয় আতাহার-সহ আরও তিনজন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি পিস্তল ও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আতাহারের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ ভুয়ো সংঘর্ষে তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। এমনকি খুন করার পর দেহ লোপাট করে দিয়েছে। কিশোর ছেলের দেহ সমাহিত করার জন্যই কবর খুঁড়ে পাঁচ দিন ধরে বসে আছেন তার বাবা।
বুধবারের ওই সংঘর্ষে আতাহারের সঙ্গেই প্রাণ গিয়েছে জুবায়ের আহমেদ এবং আইয়াজ আহমেদের। তাদের দু’জনেরই পরিবারের দাবি এই সংঘর্ষ পুরোটাই সাজানো। জুবায়ের এবং আইয়াজ দু’জনেই পুলিশ পরিবারের সন্তান। আইয়াজের বাবা হেড কনস্টেবল। জুবায়েরের দুই দাদা পুলিশে চাকরি করেন। তবে তিন পরিবারের কোনও কথাই নিরাপত্তারক্ষীরা শুনতে রাজি নয়। সেনাবাহিনীর পাল্টা দাবি, নিহত তিনজনের সঙ্গেই জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ওই তিনজনের জঙ্গিদের হয়ে কাজ করত।