যেকোনো বয়সেই হতে পারে ব্যাক পেইন

অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারি।। মাথায় চুল পড়ে যাওয়া, কিংবা কাজে কর্মে ভুল হওয়া, ঘুমে তারতম্য ঘটার সঙ্গে বয়স বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে।বয়স বাড়লেও শরীরে বাসা বাঁধে কিছু রোগও। বেক পেইন বা পিটে ব্যথাকে এমনই মনে করেন অনেকে। বয়স মেনে যে ব্যাক পেইন হয় না সেটি ভাবতে চান না।মেরুদণ্ড সম্পর্কিত এই ব্যথা হতে পারে যে কোনো বয়সেই। এর সঙ্গে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ভোগান্তি বাড়ে। এই জন্য সঠিক সময়েই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

দীর্ঘসময় চেয়ারে বসে কাজ করতে গিয়ে কিংবা দূরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে ব্যাক পেইনের শিকার হতে পারেন যে কেউ। মেরুদণ্ডের পেশি, স্নায়ু, হাড়ের জোড়া যদি সঠিক অবস্থানে সঠিক কাজ না করতে পারে তাহলে ব্যাক পেইন হয়।মূলত পেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়ায় ব্যাক পেইন হতে পারে।

এ ছাড়া চলাফেরায় অনিয়মিত, খুব বেশি ভার বা ওজন বহন, নারীদের উঁচু হিল পরে হাঁটা, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা, ঠিকঠাক মতো ড্রাইভিং সিটে না বসা বা অফিসের চেয়ারের সঠিকভাবে না বসা বা দীর্ঘক্ষণ বসার ভঙ্গিমা ঠিকমতো না হলে কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে ব্যাক পেইন হয়ে থাকে। ব্যাক পেইনকে অনেকেই গুরুত্ব দিতে চান না। মনে করেন, তেমন কিছু না, এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

অনেক সময় অল্পতেই ব্যথা সরে যায়, ফলে এ নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তাও থাকে না আর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিকে অবহেলার সুযোগ নেই। এই ব্যথার অনুসন্ধান আপনাকে করতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে আপনার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে এই ব্যাক পেইন। আর ব্যথা যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি হয়ে থাকে কোনোভাবেই অবহেলার সুযোগ নেই। ব্যাক পেইন হলে কোনো চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়।

এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে কিছু ব্যায়াম আপনাকে ব্যাক পেইন থেকে নিস্তার দেবে।

১. উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর শরীরের পাশে দুই হাত রাখুন। এভাবে ২-৩ মিনিট বিশ্রাম করুন। এবার হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে শরীরটাকে আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন। এভাবে ২-৩ মিনিট থাকুন। শরীরটাকে আস্তে আস্তে নামিয়ে আবার সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।

২. দরজার পাল্লায় বা দেয়ালে দুই হাত রেখে দাঁড়ান। এরপর সামনের দিকে এক পায়ের হাঁটু ভাঁজ করতে থাকুন যতক্ষণ না কাঁধের পেশিতে টান পড়ছে। এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। এবার অন্য পা নিয়েও একইভাবে করুন। দুই পা নিয়ে এভাবে ৩-৪ বার করুন।

৩. উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দুটি শরীরের পাশে রাখুন। এবার হাতের ওপর ভর না দিয়ে এক পা সোজা রেখে দম নিতে নিতে আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলুন। যতটুকু পারা যায় ওপরে তুলে ধরে রাখুন। নিশ্বাস বন্ধ করে মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুনুন। এরপর দম নিতে নিতে আস্তে আস্তে নিচে নামান। একইভাবে অন্য পা’ও ওপরে তুলে একইভাবে করুন ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন, দুই পা’ই সমান উচ্চতায় তুলতে হবে।

৪. দরজার পাল্লা বা দেয়ালে হাত রেখে দাঁড়ান। এক পা পিছিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন সামনের পায়ের হাঁটু ভাঁজ পড়বে, কিন্তু পেছনের পা যেন সোজা থাকে। ৩০ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। এবার অন্য পায়ে করুন। প্রতি পা তিন বার করে করুন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?