অনলাইন ডেস্ক, ৪ জানুয়ারি।। বছরের প্রথম দু’দিনে ইঙ্গিত মিলেছিল। তৃতীয় দিনে এল সুখবর। শনিবারই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে করোনা-টিকা কোভ্যাক্সিন।
যৌথ ভাবে যা তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। এরপরেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর ট্যুইট করে বলেন, ‘কোভ্যাকসিনের এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি।
কিন্তু তার আগেই তড়িঘড়ি সেই ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হল। যা বিপজ্জনক।’ ট্যুইটে ট্যাগ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তরফে এ প্রসঙ্গে কোনও ব্যাখ্যা আসেনি। তবে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ অনুমোদনের বিষয়টি সামনে আসতেই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে বিভিন্ন মহলে যে শোরগোল শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলেছে ডিজিসিআই।
সেই প্রসঙ্গে ডা. ভিজি সোমানি বলেন, “ভ্যাকসিনের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলেও আমরা তাকে কখনওই অনুমোদন দিই না। একটি বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ।” তিনি আরও বলেন, “ যে কোনও টিকার ছোটখাটো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকেই।
যেমন টিকা নেওয়ার জায়গার আশপাশে অল্পবিস্তর ব্যথা, সামান্য জ্বর আসা, বমিবমি ভাব, এগুলো তো প্রায় সব ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এর বাইরে সবটাই গুজব।”