অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারি।। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২০০ মিটার লম্বা একটি গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ পেল পুলিশ। এক অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তদন্ত কাজ চালাতে গিয়ে পুলিশ ওই সুড়ঙ্গের খোঁজ পায়। পুলিশের অনুমান ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে চলে চোরাচালান এবং মানুষ পাচার। ইতিমধ্যেই ভারতের দিকে ওই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করার জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছে অসম পুলিশ।
২৮ শে ডিসেম্বর অসমের করিমগঞ্জের বাসিন্দা দিলওয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। পরে দুষ্কৃতীরা দিলওয়ারের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। বাড়ি ফেরার পর দিলওয়ার পুলিশকে ওই গোপন সুড়ঙ্গের কথা জানান। দিলওয়ারের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে বালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় অসম পুলিশ। পুলিশি অভিযানে ওই সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে।
করিমগঞ্জের এসপি মায়াঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, ঘন জঙ্গলের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ওই সুড়ঙ্গ পথটি লুকান ছিল। ইতিমধ্যেই ভারতের দিকে ওই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দিলওয়ার জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গটি বাংলাদেশের সিলেট পর্যন্ত বিস্তৃত। ওই সুরঙ্গ পথ দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন মাদক থেকে শুরু করে মানুষ পাচার হত। দিলওয়ার আরও বলেন, করিমগঞ্জের ৯২ কিলোমিটারব্যাপী সীমান্তে কমপক্ষে ৬৩টি সুড়ঙ্গ আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮-র মে মাসে করিমগঞ্জের মদনপুর এলাকায় এরকম আরও একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ওই সুড়ঙ্গটি গরু পাচারের জন্য ব্যবহার হত। উল্লেখ্য, অসমের করিমগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২২টি জায়গায় কাঁটাতার নেই। ওই জায়গা দিয়ে নিয়মিত অনুপ্রবেশ চলে।