অনলাইন ডেস্ক, ২ জানুয়ারি।। গত সেপ্টেম্বরে একদিনের নোটিশে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনা রানাউতের পালি হিলসের অফিস। ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পরে বম্বে হাই কোর্টে বড় জয় পেয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। আপাতত সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আদালত প্রশ্ন তুলল অভিনেত্রীর খার এলাকার ফ্ল্যাট নিয়ে। বিএমসি অর্থাৎ মুম্বাই পৌরসভা তার বাসস্থানে বুলডোজার চালাতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, নিজের তিনটি ফ্ল্যাটকে একত্র করে আইন ভেঙেছেন কঙ্গনা। আজ সকালে টুইট করে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলিউড তারকা। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারকে ‘মহাবিনাশকারী’ বলেও তোপ দাগেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘‘এসব মহাবিনাশকারী সরকারের জাল প্রোপাগান্ডা। আমি কোনও ফ্ল্যাটকে জুড়িনি। পুরো বিল্ডিংটাই ওভাবে তৈরি। প্রতি তলায় একটা করে অ্যাপার্টমেন্ট। আমি সেই অবস্থাতেই ওটা কিনেছিলাম। বিএমসি ওই বিল্ডিংয়ের মধ্যে কেবল আমাকেই হয়রানি করে চলেছে। আমি উচ্চ আদালতে যাব।’’
গত ১৭ ডিসেম্বর মু্ম্বাইয়ের এক সিভিল আদালতের বিচারক এলএস চৌহান কঙ্গনার আবেদন খারিজ করে জানান, এ ভাবে তিনটি ফ্ল্যাটকে জুড়ে দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা কিংবা কমন প্যাসেজে রদবদল করেছেন কঙ্গনা। আরও অনেক পরিবর্তন করেছেন তিনি। এর ফলে ওই বিল্ডিংয়ের অনুমোদিত প্ল্যান গুরুতর ভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতের রায়ের বিস্তৃত কপি প্রকাশিত হয়েছে। যা দেখে প্রতিবাদ করেছেন কঙ্গনা। এবার পালটা টুইট করে লড়াই জারি রাখার কথা জানালেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, এর আগে তার পালি হিলসের অফিস ভাঙার পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ বলে ভর্ৎসনা করেছিল। এখন দেখার, খারের এই ফ্ল্যাটকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার সংঘাত কোন পথে যায়।