অনলাইন ডেস্ক, ২ জানুয়ারি।। প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বুটা সিং। শনিবার সকালে দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। পঞ্জাবের জলন্ধরের মুস্তফাপুরে ১৯৩৪-এর ২১ মার্চ জন্ম হয়েছিল তাঁর। আটবার লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বুটা।
উল্লেখ্য, রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল শিরোমনি অকালি দলের হয়ে। পরে তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। ১৯৬২ তে প্রথমবার পঞ্জাবের সাধনা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। এরপর অবশ্য তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দিল্লির রাজনীতিতে ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একসময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দিল্লির রাজনীতিতে গান্ধি পরিবারের কাছের মানুষ বলেই পরিচিত ছিলেন বুটা। এদিন এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধির মত কংগ্রেস নেতারা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা বুটার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোক বার্তায় বলেছেন, বুটা সিং ছিলেন একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ প্রশাসক। গরীব মানুষের জন্য তিনি সবসময় ভাবতেন। তাঁর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। প্রয়াত নেতার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বুটা সিং। অপারেশন ‘ব্লু স্টার’-এর পর বিধ্বস্ত স্বর্ণমন্দির ফের নতুন করে গড়ে তোলায় তাঁর বিশেষ অবদান ছিল। অযোধ্যার রাম মন্দিরের ক্ষেত্রেও এই প্রবীণ নেতার নাম জড়িয়েছিল।
অযোধ্যায় রাম লালা বিরাজমানকে আলাদা সত্ত্বা হিসেবে তুলে ধরে আদালতে জমির মালিকানার দাবি জানানো বুটারই পরিকল্পনা ছিল। সোনিয়া তাঁর শোক বার্তায় বলেন, আমরা এক পারিবারিক বন্ধুকে হারালাম। রাম মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাইও মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে বুটার অবদানের কথা মেনে নিয়েছেন। বুটার মৃত্যুতে পঞ্জাবের কংগ্রেস রাজনীতির একটি অধ্যায়ের অবসান হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে এক সময় পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা করেছিলেন তিনি।