অনলাইন ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর।। বুধবার ক্লাসের মধ্যে বসার সিট নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল দুই ছাত্রের। ওই ঘটনার যে এমন করুণ পরিণতি হবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। বুধবার দুই ছাত্রের মধ্যে তর্কাতর্কি মিটে গেলেও এক ছাত্র যে মনে এতটা হিংসা পুষে রেখেছিল শিক্ষক ও সহপাঠীরা কেউই বুঝতে পারেনি। বৃহস্পতিবার ওই দুই ছাত্রের মধ্যে একজন অপরজনকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি করে। ক্লাসের মধ্যেই মৃত্যু হয় একজনের। এ ঘটনায় ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের এক স্কুলে। দুই ছাত্রই দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পুলিশ জানিয়েছে, দুই ছাত্রের বয়স ১৫-র মধ্যে। বুধবার ক্লাসে বসা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।
ওই ঘটনায় এক ছাত্র অন্যজনকে শিক্ষা দিতে পরের দিন ব্যাগে করে একটি বন্দুক নিয়ে আসে। তারপর ক্লাসের মধ্যে সকলের সামনেই ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে অপর ছাত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওই বন্দুকটি সংশ্লিষ্ট ছাত্রের কাকার। বুলন্দশহরের পুলিশ অফিসার সন্তোষ কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই ছাত্র তার কাকার বন্দুক চুরি করে নিয়ে এসেছিল। কাকা সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এই মুহূর্তে তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার প্রথম দু’টি ক্লাস নির্বিঘ্নে শেষ হয়। এরপর বেলা ১১ টা নাগাদ এক ছাত্র অপর ছাত্রকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায়।
মাথা, বুক ও পিঠে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্র। ঘটনার পর ওই ছাত্র পালানোর চেষ্টা করে। দোতলা থেকে স্কুলের একতলায় নেমে এসে সে শূন্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তবে উঁচু ক্লাসের কয়েকজন ছাত্র তাকে ধরে ফেলে। কেড়ে নেওয়া হয় তার বন্দুক। স্কুল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ স্কুলে গিয়ে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে। তার ব্যাগ থেকে একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় সহপাঠীকে মারার জন্য রীতিমত পরিকল্পনা করেই সে স্কুলে এসেছিল। ওই দেশি পিস্তলটি সে কোথায় পেল বা ওই ছাত্রের সঙ্গে কোন দুষ্কৃতীর যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কিশোরের কোনও মানসিক সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।