অনলাইন ডেস্ক, ৩০ ডিসেম্বর।। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী রাম মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সরযু নদী। বর্তমানে রাম মন্দির তার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে। তৈরি হচ্ছে নতুন রাম মন্দির। সেই নতুন রাম মন্দিরের ভিত খুঁড়তে গিয়ে সরযু নদীর জলস্রোতের খোঁজ মিলল। এভাবে সরযু নদীর খোঁজ মেলায় জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হল রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি। তবে মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এই নদীর জলস্রোত বাধা সৃষ্টি করছে। মন্দিরের ভিতে নদীর জল নিয়মিত ধাক্কা মারলে ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে। রাম মন্দির কমিটি ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিগুলির পরামর্শ চেয়েছে।
যে হেতু মন্দিরের নিচ দিয়ে নদীর জলস্রোত বয়ে চলেছে তাই মন্দিরের ভিত যাতে আরও পোক্ত করা যায় সেজন্য আইআইটির কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার মন্দির নির্মাণ কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, মন্দিরের ভিত আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য আইআইটির কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই এদিন বলেন, বেশ কয়েকটি স্তম্ভ ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নিচে বসানোর ২৮ দিন পর পরীক্ষা করা হয়। ওই স্তম্ভগুলির উপর ৭০০ টন ওজন চাপানো হয়। কিন্তু তাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি। কারণ মন্দিরের প্রস্তাবিত গর্ভগৃহের পশ্চিম দিক দিয়ে সরযু নদী বয়ে চলেছে। সেখানে যে স্তম্ভগুলি বসানো হয়েছে তার পাশেই নদীর জল ও বেলে মাটি রয়েছে।
নরম বেলে মাটি মন্দিরের স্থাপত্যের ভার ধরে রাখতে পারবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কিভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে নদীর জল আটকে রাখা যায় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, ৪২ মাসের মধ্যে এই মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করতে চায় ট্রাস্ট। দ্রুত মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে ইতিমধ্যেই গুজরাত ও রাজস্থানের ২৫০ জন বিশেষ দক্ষ কারিগরকে নিয়োগ করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের জন্য রাজস্থান থেকে আসছে বিশেষ ধরনের গোলাপি পাথর। মন্দির নির্মাণের মূল দায়িত্বে রয়েছেন অনুভাই সোমপুরা। সোমপুরার পারিবারিক সংস্থাই রাম মন্দিরের নকশা তৈরি করেছে।