স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে নানা মত প্রকাশ করেছে৷ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রের ওই করুণ পরিণতি স্বাভাবিকভাবে বাবা-মা সহ অনেকেই সহজে মেনে নিতে পারছেন না৷ ফলে, ওই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন, সকলের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ণ ছুড়ে দিয়ে সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে আজ বাড়ি ফিরে গেছেন হতভাগা বাবা৷
সোমবার সন্ধ্যায় আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ডাক্তারী পড়ুয়ার মৃতদেহ৷ তার নাম আদর্শ দে৷ এমবিবিএস কোর্সের ৯ম সেমিস্টারের ছাত্র ছিল আদর্শ৷ গত সন্ধ্যায় হোস্টেলের ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ সহপাঠী-রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছে৷ আদর্শ বিলোনীয়া-র বাসিন্দা৷ সে ২০১৬ সালে বিলোনিয়া আর্য্য কলোনী বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান দখল করেছিল৷
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জিবি হাসপাতালে পাঠায়৷ আজ তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে৷ আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপক সকলেই তাঁর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন৷তাঁর মৃত্যুতে আজ একদিনের জন্য মেডিকেল কলেজে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ময়না তদন্তের পর মৃতদেহে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার পূর্বে সহপাঠী এবং অধ্যাপক-রা তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷ তবে, ওই মৃত্যুর পেছনে কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ৷ মৃতের বাবা অশোক দে অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি৷ তাকে খুন করা হয়েছে৷ এদিন তিনি বলেন, আদর্শ-কে বিছানায় শায়িত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে৷
তাছাড়া, পুলিশ কিংবা নিকটাত্মীয়ের উপস্থিতি ছাড়া তার ঝুলন্ত মৃতদেহ কেন নামানো হয়েছে, সেই প্রশ্ণ তুলেছেন তিনি৷ অবশ্য এ-বিষয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখে কোনটা মৃতদেহ তা বুঝা সম্ভব নয়৷ আদর্শ-কে হয়তো বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই নামানো হয়েছিল৷ তবে, ময়না তদন্তে মৃত্যুর সমস্ত কারণ বেরিয়ে আসবে৷ তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য চিকিৎসকদের একটি গোষ্ঠীর উপস্থিতি ভিডিও রেকর্ডিং সহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে৷