অনলাইন ডেস্ক, ৩০ ডিসেম্বর।। গত সপ্তাহে অরুণাচলে জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউয়ের ছয় বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই ঘটনার পর থেকে বিহারে জেডিইউয়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। জেডিইউয়ের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী জানিয়েছিলেন, অরুণাচলের ঘটনার কোনও প্রভাব পড়বে না বিহারে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। তবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শ্যামের ওই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটা আরজেডির একটা রাজনৈতিক চাল। তারা ক্ষমতা না পেয়ে যে কোনওভাবে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। তাঁর দলের কোনও বিধায়ক কখনওই আরজেডির মত দলে যোগ দেবেন না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তাঁর সরকার নিশ্চিতভাবেই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে। জানা গিয়েছে জেডিইউয়ের ১৭ জন বিধায়ক আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
তাঁরা খুব দ্রুত লালুপ্রসাদের দলে যোগ দিতে চান। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। ঘটনার জেরে বিহারে বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকারের স্থায়ীত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আরজেডি নেতা শ্যাম রজক বুধবার বলেন, জেডিইউতে স্বাধীনভাবে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। এটা বুঝেই আমি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি যে কোন ভুল করিনি তা এখন বুঝতে পারছি। শ্যাম রজক আরও বলেন, নির্বাচনের পর জেডিইউয়ের ১৭ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা চান, অবিলম্বে আরজেডিতে যোগ দিতে। তবে আমরা দলত্যাগ বিরোধী আইন ভেঙে কোন কাজ করতে চাই না।
সে কারণে ওই ১৭ জনকে এখনই আরজেডিতে যোগ দিতে বারণ করেছি। ২৮ জন বিধায়ক যদি একসঙ্গে দল ছাড়ে তাহলে আর দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে না। আমরা সেই সময় ও সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই আমরা সেই ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করতে পারব। উল্লেখ্য, অরুণাচলপ্রদেশে জেডিইউয়ের ৭ জন বিধায়ক ছিল। যার মধ্যে বিজেপি ছয়জনকেই নিজেদের দলে এনেছে। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। তেমনি আরজেডিও নীতিশের দলের ২৮ জন বিধায়ককে একসঙ্গে নিজেদের দলে নিতে চাইছে। শ্যাম রজকের এদিনের বক্তব্য যদি ঠিক হয় তবে বিহারের বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকার ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।