অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর।। সাধারণত শীতকালে গোটা দেশেই ডিমের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি যেন অস্বাভাবিক। এই মুহূর্তে পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা। পাড়া বা স্থানীয় দোকানে সেই ডিম কোথাও ৭ টাকা কোথাও বা তারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ডিমের দাম শুনে যখন মানুষের হেঁচকি উঠছে তখন মুরগির মাংসের দাম একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মুরগি ৪০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। সোমবার সকালে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ১০০ টি ডিমের দাম ছিল ৬০০ টাকা।
দেশে ডিমের সবচেয়ে বড় বাজার বারওয়ালায় প্রতি ১০০ ডিমের দাম ছিল ৫৫০ টাকা। ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে উত্তরপ্রদেশের এক পোল্ট্রি ফার্ম মালিক জানালেন, করোনা চলাকালীন গোটা দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মুরগিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে বিনামূল্যে মানুষকে মুরগি দিতে চাইলেও তাও কেউ নিচ্ছিল না। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে প্রায় ৬০ শতাংশ মুরগি মেরে ফেলা হয়েছিল। তাই এই মুহূর্তে বাজারে ডিম দেওয়া মুরগি একেবারেই নেই। অন্যদিকে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে ডিমের চাহিদা।
তাই চাহিদা ও যোগানের মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে। চিকেন মার্কেট এক্সপার্ট এবং ইউপি পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নবাব আলি জানিয়েছেন, ডিম দেওয়া মুরগি না থাকার কারণেই ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। অন্যদিকে মুরগির দাম কিলো প্রতি ৪০ টাকায় নেমেছে। মুরগির দাম এতটাই কমে গিয়েছে যে, বিভিন্ন ছোট-বড় হোটেলে ডিম দেওয়া মুরগি খাওয়া হচ্ছে। তবে এভাবে যদি ডিম দেওয়া মুরগি রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো হয় তবে আগামী দিনে নিশ্চিতভাবেই ডিমের দাম আরও বাড়বে।