অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর।। রবিবার বিকেলে হঠাৎ রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলার মহারাজ। আর এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয় চাপানত্তোর। এরপর রাজধানীর উদ্দেশে উড়ে যান তিনি।
সোমবার নয়াদিল্লিতে ফিরোজ শাহ কোটলায় অমিত শাহর সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলিকে এক মঞ্চে দেখা গেল। প্রয়াত ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট অরুণ জেটলির আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন হল কোটলায়।
বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে যে অনন্য সুন্দর কোটলা, তার পরিকাঠামো এক প্রকার বাড়ির উঠোনের মতোই সাজিয়েছিলেন জেটলি। নিজে দাঁড়িয়ে তদারকি করতেন কাজের। বিজেপি শিবিরে জেটলি ও মোদী-শাহর দোস্তি সুবিদিত ছিল। সম্ভবত সেই কারণে তাঁর মূর্তি উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহর সঙ্গে ওই একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
জেটলির সঙ্গেও সৌরভের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে সৌরভ উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে থাকার সুবাদে।দিল্লিতে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও গৌতম গম্ভীর।
আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, হরদীপ সিং পুরী, অনুরাগ ঠাকুর। দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ডিডিসিএ-র দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান পদে থাকা অরুণ জেটলির একটি মূর্তির উন্মোচনের পর রাতেই কলকাতায় ফেরার কথা সৌরভের।এদিন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজনৈতিক যোগদানের প্রশ্ন শুনে ‘বাপি বাড়ি যা’ মেজাজে সৌরভের উত্তর, ‘ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে অরুণ জেটলির মূর্তি বসেছে।
এটা দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলাম। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে অনুষ্ঠানে থাকবেন এর মধ্যে জল্পনা করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। আরও অনেকেই অনুষ্ঠানে ছিলেন।’ পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘শুধু শুধু আমাকে নিয়ে জল্পনা করা হচ্ছে। জল্পনা করার মতো কোনও খবরই নেই।
একটা মানুষ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারে না? দিল্লিতে এসেছি ডিডিসিএ-র অনুষ্ঠানে।’
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অরুণের মূর্তি উন্মোচন আমার কাছে সৌভাগ্য। ইউপিএ-র শাসনকালে হাঁপিয়ে উঠেছিল দেশ, অস্থিরতার যুগ থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ। শাসক বা বিরোধী শিবির, উনি কখনও ভেদাভেদ করেননি। অর্থনীতিতে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন জেটলি।
মূর্তি উন্মোচনের জন্য আমায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশে আইপিএল চালু কররা উদ্যোগ নিয়েছিলেন জেটলির। আইপিএল নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। আমরা বারবার জেটলিজির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। ক্রীড়া ও রাজনীতিতে তাঁর সমান আগ্রহ ছিল।
উনি ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার মানুষ। উনি ভেদাভেদে বিশ্বাস করতেন না। উনি সমসময় সবাইকে নিয়ে চলতে চাইতেন।’ এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সৌরভের উদ্দেশে নাম না করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে আগে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে।’