অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর।। করোনা থেকে প্রায় সকলেই সেরে উঠছেন এটা যেমন ঠিক, তেমনই এই রোগ মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছাপ ফেলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার জেরে মানুষের ফুসফুস খুব দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই রোগের নাম নিউমোথোরাক্স। এই রোগে ফুসফুসের মধ্যে তৈরি হচ্ছে একটি গর্ত। এই সমস্যার কথা জানতে পারায় নতুন করে দেশের চিকিৎসক ও গবেষকরা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিউমোথোরাক্স রোগ কীভাবে আমাদের ফুসফুসকে দুর্বল করছে।
সম্প্রতি গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের নিউমোথোরাক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে ফুসফুসে ফাইব্রোসিস হয়। যখন এই ফাইব্রোসিসের সংখ্যা বেশি হয় তখনই সেটা নিউমোথোরাক্সে পরিণত হয়। অর্থাৎ ফুসফুসে তৈরি হয় গর্ত। জানা গিয়েছে, নিউমোথোরাক্স আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকলেরই তিন থেকে চার মাস আগে করোনা হয়েছিল। সেরে উঠলেও তাঁদের ফুসফুসে ফাইব্রোসিস রয়ে গিয়েছিল। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার কিছুদিন পর তাদের বুকে তীব্র ব্যথা, যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে শ্বাস নিতে সমস্যা। এরপর আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। সেখানেই তাঁদের ফুসফুসে নিউমোথোরাক্স ধরা পড়ে।
এই রোগে ফুসফুসের বাইরের প্রাচীর এবং অভ্যন্তরীণ স্তরগুলি এতটাই দুর্বল ও নড়বড়ে হয়ে পড়ে যে সেগুলির নিরাময় ক্ষমতা অত্যন্ত হাস পায়। সে কারণেই খুব সহজেই ফুসফুসে গর্ত তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্তদের বুকে তীব্র ব্যথা, যন্ত্রণা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, যে সমস্ত মানুষকে করোনা থেকে বাঁচার জন্য ভেন্টিলেটরে রাখা হয় তাঁদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা বেশি হচ্ছে।