স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর।। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ছিলেন শিক্ষক বর্তমানে রুটি সবজি বিক্রেতা কিছু করার নেই। বৃদ্ধ মাতা স্ত্রী সন্তানকে বাঁচানোর জন্য কিছু একটা কাজ তো করতেই হবে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আর কিছু গত্যন্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত বেছে নিলেন ফুটপাতের মধ্যে রুটি সবজির ব্যবসা।
মার্চ মাস পর্যন্ত করবুক স্কুলের ১০৩২৩ এর শিক্ষক অমিত দেববর্মা। মার্চ মাসে চাকরি চলে গেছে। চাকরি চলে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্য সরকার কিছু একটা করবে। শেষ পর্যন্ত সংসার আর চলছে না। মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হাতে যেটুকু সঞ্চয় ছিল বিগত দিনে চাকরি করে সবকিছু সঞ্চয় বসে বসে খেয়ে শেষ। আর কোনোভাবেই সংসার চলছিল না।
শেষমেষ ডিসেম্বর মাসে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রুটি সবজির ব্যবসা করবেন। কারণ সংসার পরিবারকে বাঁচাতে হবে। না হলে খেয়ে মরতে হবে। গরীব ঘরের সন্তান বাবা নেই শিক্ষক অমিত দেবরর্মার মা ছেলেকে হাজিরা কাজ করে পড়া লেখা শিখিয়েছে। বিগত সরকারের কল্যাণে ছেলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিল। আজ সর্বহারা।
প্রায় ২০ দিন হয়েছে রুটি সবজির ব্যবসা ধরেছেন অমিত দেববর্মা। কোনরকমে এই ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। অমিত দেববর্মা বলেন লজ্জার কিছু নেই কাজ করছি। সংসার প্রতিপালন করছি। তবে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রেখেছেন অসহায় অমিত দেববর্মা যাতে করে রাজ্য সরকার ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করে।
কারণ না হলে আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকতে কষ্ট হবে। অমিত দেববর্মা আরো অভিযোগ করেন এই রুটি সবজির ব্যবসা করেও শান্তি নেই। তারপরও আমি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। সংসার চালাতে গিয়ে ভীষন হিমশিম খেতে হচ্ছে আমার।
সরকারি চাকরি না থাকলেও জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা যায় যদি একটু পরিশ্রম করা যায়। তারপরেও রাজ্য সরকারের কাছে অমিত দেববর্মা আবেদন রেখেছেন যাতে সরকার আমাদের জন্য ব্যবস্থা করে।