অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ডিসেম্বর।। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ১০০ তম ‘কিষাণ রেল’ যাত্রার সূচনা করবেন। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত এই ট্রেনটি যাবে। সোমবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কিষাণ রেল যাত্রার সূচনা করবেন মোদি।
এই কিষান রেলে একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যাবে তেমনি বিভিন্ন ফলও পাঠানো যাবে। রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা, পিঁয়াজের মত বিভিন্ন ধরনের সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইভাবে আঙুর, কমলালেবু, কলা, আপেল, বেদানা, আতার মত বিভিন্ন ফল নিয়ে যাওয়ার জন্যও করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এই ট্রেন যে সমস্ত স্টেশনে দাঁড়াবে সেখানেও নতুন করে বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি তোলা এবং নামানো যাবে। এই ট্রেনে ফল ও শাকসবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য যে খরচা হবে তার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে কৃষকদের। কৃষকদের সুবিধার্থেই এই বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার।
উল্লেখ্য, ৭ অগস্ট দেশের প্রথম কিষাণ রেল যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ওই ট্রেন দেবলালি থেকে দানাপুর পর্যন্ত চলাচল শুরু করেছিল। যদিও পরে তার যাত্রাপথ বাড়িয়ে মুজাফফরপুর পর্যন্ত করা হয়। রেল বোর্ড আরও জানিয়েছে, এই ট্রেনের চাহিদা বাড়ায় যাত্রার দিন সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
প্রথমে এই ট্রেন চলত সপ্তাহে একদিন। কিন্তু চাষীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে এই বিশেষ ট্রেন সপ্তাহে তিন দিন চলছে। বিভিন্ন কৃষিজ ফসল পরিবহনের ক্ষেত্রে এই ট্রেনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ফল ও শাকসবজি হল পচনশীল দ্রব্য।
এই সমস্ত পচনশীল দ্রব্য দ্রুত পরিবহণ ও সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। সেই কাজটি করছে কিষান রেল। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা মত বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে জিনিসের দাম অযথা বাড়ছে না।