অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ডিসেম্বর।। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ভারতে এখনও টিকাকরণ শুরু না হলেও বেশ কয়েকটি সংস্থা টিকাকরণের অনুমতি চেয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি পরিস্থিতিতে ভারতে খুব সম্ভবত অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড টিকাকরণের প্রথম অনুমতি পেতে চলেছে। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক মত চললে খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের বরিস জনসন সরকার তাঁর দেশের অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। ব্রিটেনে অনুমতি দেওয়ার পরই সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এক বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। তারপরই এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের অনুমতি পেতে চলেছে এমনটাই খবর। দেশের আর এক সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন। তবে বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন এই মুহূর্তে তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় রয়েছে। তাই কোভ্যাক্সিনের অনুমতি পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকেই ভারত সরকার প্রথম টিকাকরণের অনুমতি দিতে চলেছে। চূড়ান্ত অনুমতি দেওয়ার আগে গত সপ্তাহে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালা সেই সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছেন। ওই সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই সেরাম ইনস্টিটিউটকে টিকাকরণের অনুমতি দিতে চলেছে সরকার।
উল্লেখ্য, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তারা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই সংস্থা চার কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে। দেশে টিকাকরণ শুরুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এই সংস্থা। এখন দেখার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল কবে এই অনুমতি দেয়।