অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ডিসেম্বর।। যদি আপনি অফিসে সপ্তায় ৪০ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় ব্যয় করেন, তাহলে সেখানের পরিবেশটা আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক হওয়া আবশ্যক। আর সেটা তখনই হবে, যখন আপনার চারপাশে আপনার ‘বন্ধু’রা থাকবে। আপনার প্রতিষ্ঠানেরও তাতে উন্নতি হবে।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক একটি ক্যারিয়ার-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান লরি শেরউইন জব পোর্টাল মনস্টারকে বলেন, ‘সহকর্মীকে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড করার দরকার নেই, কিন্তু সফলতার জন্য তার সঙ্গে বিনয়ী, শ্রদ্ধাশীল এবং ভালো সম্পর্ক রাখা উচিত। ‘ শেরউইন বলেন, ‘আপনার সঙ্গে যদি কেউ কাজ করে স্বস্তি বোধ করে, তাতে আপনারই লাভ। ’তবে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। কাদের কাদের বন্ধু করবেন, সেটি আগে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
আপনার বস: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না রাখলে আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। আপনি যার অধীনে কাজ করছেন, তার কাজের ধরন সবার আগে বুঝে নিতে হবে। পেশাদার দুনিয়ায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘বস সব সময় ঠিক। ’ এটি আপনাকে অনুধাবন করতে হবে। ‘ঠিক’ বলতে এমন নয় যে, তিনি ভুল বললেও সেটি মেনে নিতে হবে। ব্যাপারটি এমন, আপনাকে নিজের মতামত বিনয়ের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। তাকে ভুল প্রমাণ করতে যাওয়া মানে বিপদ। এই বিষয়টি খেয়াল রেখে নিজের কাজটুকু শতভাগ মন দিয়ে করে গেলে বসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে দ্রুত।
একই বিভাগের সহকর্মী: নিজের বিভাগের সহকর্মীর সঙ্গে অনেকেই বন্ধুত্ব করে উঠতে পারেন না। কিন্তু অফিসে আপনার গুরুত্ব বাড়াতে গেলে এটি করতেই হবে। কারণ ‘ঘর’ ঠিক না থাকলে পর আপনাকে কোনো দিন সম্মান দেখাবে না। ‘ইগো’ সমস্যা অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই মনোভাব দূর করতে শেরউইনের পরামর্শ এমন, ‘সহকর্মীকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না। তার সাফল্য উদ্যাপন করুন। আপনি তার আপন সেটা তাকে অনুভব করানোর চেষ্টা করুন। ’
যে ব্যক্তি অনুকরণীয়: অফিসে অন্যরা যাকে শ্রদ্ধা করে, যার কথা শোনে তার সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক রাখা জরুরি। ইগোকে মাটিচাপা দিয়ে তার থেকে শেখার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার পথটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।