অনলাইন ডেস্ক, ২৭ ডিসেম্বর।। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কয়েকটি দেশের পর এবার ইউরোপের দেশগুলো করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা দেওয়া শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৬টি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেক তৈরি টিকা ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’র (ইএমএ) অনুমোদনের পর রবিবার থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রতিটি সদস্য দেশ তাদের টিকা সরবরাহে অগ্রাধিকার নির্ধারণে নেতৃত্ব দেবে। তবে তিনটি সদস্য দেশ জার্মানি, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া একদিন আগে শনিবার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
দ্রুত সময়ে করোনার টিকাগুলোর উন্নয়ন এবং অনুমোদন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তবে প্রাপ্যতা, কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। একটি নতুন ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণে অন্তত ১০ বছর লাগে। তবে এই প্রক্রিয়া কভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি টিকা ২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। হাজার হাজার বয়স্ক লোক এই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অপর একটি মার্কিন কোম্পানি মডার্নার টিকা ব্যবহারের জরুরি অনুমতি দিয়েছে।
রাশিয়া ৫ ডিসেম্বর নিজস্ব তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা ব্যবহার শুরু করেছে, যদিও এটি এখনো ক্লিনিক্যাল টেস্টের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। চীন ইতোমধ্যেই তাদের কিছু টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এরমধ্যে কিছু টিকার এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মোট ১৬টি টিকা ব্যবহারের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, এর অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে।