অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর।। নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) জেরে ব্রিটেনে সংক্রমণ দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। সরকারি হিসাবেই ইংল্যান্ডে এখন প্রতি ৮৫ জনের একজন সংক্রমিত। কিন্তু লন্ডনের স্বাস্থ্য কর্মীরা বলছেন, সংক্রমণের ভীতি বাড়লেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ প্রস্তাব পেয়েও করোনার টিকা নিতে অস্বীকার করছেন। ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের (এনএইচএস) কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক।
তিনি লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যমলেটস এলাকার একটি জিপি সেন্টার বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক। ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, টিকা দেওয়া শুরুর প্রথম সপ্তাহেই তারা সন্দেহ, বিভ্রান্তি এবং আপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ফোন করে টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি, অনেক মানুষ গড়িমসি করছেন, নানা প্রশ্ন করছেন। অনেকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছেন। ’এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পরে ডাক্তাররা নিজেরাই মানুষের বাসায় ফোন করেছেন।
কিন্তু তারপরও অনেকেই টিকা নিতে সরাসরি অস্বীকার করেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন জিপি একদিনে ২৫ জনকে ফোন করেছিলেন কিন্তু তাদের সাতজন টিকা ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করেন। বাকি পাঁচজন নানা কারণে আসতে অপারগতার কথা জানান। ব্রিটেনে ১৫ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৮০ বছর এবং তার ঊর্ধ্ব বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এদিকে করোনার নতুন স্ট্রেইন (ধরন) ছড়িয়ে পড়া যুক্তরাজ্যে একদিনে আরও প্রায় ৩৩ হাজার জন সংক্রমিত হয়েছে।
একই সময়ে মারা গেছে আরও ৫৭০ জন। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে মোট সংক্রমণ ২২ লাখ ২১ হাজার আর মৃত্যু ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।