অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর।। দিনের শেষ তাঁর নামের পাশে লেখা ১৫-৪-৪০-২। অভিষেক টেস্টে তাঁর প্রথম শিকারের নাম দারুণ ফর্মে থাকা মার্নাস লাবুশেন। পরের শিকার ক্যামেরন গ্রিন। হায়দরাবাদের অটোরিক্সা চালকের ছেলে মহম্মদ সিরাজের আগ্রাসন আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ক্রিকেটমহলেও। ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রলিয়ায় আসার পরেই প্রিয় বন্ধু, বাবা মহম্মদ ঘাউসের মৃত্যুসংবাদ পান। কিন্তু প্রয়াত বাবার স্বপ্নপূরণ করতে মরিয়া এই হায়দরাবাদি যুবক ফিরে যাননি দেশে। নিবিড় অনুশীলনে ডুবিয়ে দেন নিজেকে। শনিবার সেই সাধনার ফল পেলেন তিনি। টেস্ট ক্যাপ হাতে তুলে দেওয়ার সময় রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছিলেন, “মনে রেখো, ধাপে ধাপে লড়াই করে তুমি এই সম্মান অর্জন করলে।
এর পূর্ণ মান রাখার দায়িত্ব এখন থেকে তোমার হাতেই।” সতীর্থ এবং অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের আস্থার মূল্য দিয়েছেন তিনি। প্রথম দিনের শেষে ভারতীয় পেসারের পারফরম্যান্স নিয়ে রিকি পন্টিং বলেছেন, “ওর গতি, নিয়ন্ত্রিত সুইং এবং আগ্রাসী মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট আবার এক দারুণ টেস্ট বোলারকে পেয়ে গেল। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে কিন্তু এই নবাগতদের গতির ধাক্কা সামলে উঠতে হবে। আমি আইপিএলেও সিরাজকে দেখেছি। আসলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ধারাবাহিক ভাবে খুব ভাল বোলিং করেছে। বিশেষ করে, ক্যামেরন গ্রিনকে ও যে ডেলিভারিতে আউট করেছে, সেটা আমার কাছে অনেক বেশি চমকপ্রদ মনে হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছিল, ও অনেক বেশি ভাবনাচিন্তা করে বোলিংটা করছে। নিঃসন্দেহে মহম্মদ সিরাজ ভারতীয় দলের এক দারুণ প্রাপ্তি।”
একই মন্তব্য শোনা গিয়েছে সতীর্থ যশপ্রীত বুমরার মুখেও। তিনি বলেছেন, “অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছে, কিন্তু একবারের জন্য দেখে মনে হয়নি তার জন্য সিরাজ কোনও ধরনের মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। ওর প্রত্যেকটি ডেলিভারিতে আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া ধরা পড়েছে। দারুণ সুইং করাতে পারে। লাইন এবং লেংথে ভাল, তবে সতীর্থ হিসেবে ওকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শও দিয়েছিলাম। জানতাম, নতুন বলে এই উইকেটে ও সফল হবেই। বিশেষ করে লাবুশেনের উইকেট নিয়ে সিরাজই আমাদের ম্যাচে নতুন ভাবে কর্তৃত্ব বজায় রাখার কাজটা সহজ করে দিয়েছে। ভারতীয় দলের পক্ষে এটা দারুণ শুভ এবং আমরা সকলেই আশা করব, এভাবেই ও আমাদের দলকে সাহায্য করে যাবে।”