অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর।। দিনে দিনে বাংলাদেশে নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার বা সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১১ হাজার ৯৫৬ জন আর মারা যান ছয় হাজার ৫৮২ জন।
এই রোগ থেকে নিরাপদে থাকতে হলে লজ্জা ভুলে শুরু থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
এই ক্যান্সারের কারণ- খুব অল্প বয়সে বিয়ে এবং ঘনঘন সন্তান নেওয়া সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
এর সঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও অপুষ্টি। কারণ, অপুষ্টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়ে অন্য কারণগুলোকে উৎসাহিত করে। এছাড়া, এই রোগের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ যদি বারবার হয়, তাহলে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
আশার কথা হলো এটিই একমাত্র ক্যান্সার যার টিকা রয়েছে যা দেওয়ার উপযুক্ত সময় হলো মেয়েদের যৌন জীবন শুরুর আগে। এই ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ আছে, যা থেকে রোগটি আগেভাগে শনাক্ত করা যায়।
১. জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মূল সমস্যা হলো এটি শেষ পর্যায়ে গেলেই শুধুমাত্র ব্যথা দেখা দেয়। এর লক্ষণগুলোকে অনেকেই পিরিয়ডের মেয়েলি সমস্যা বলে ভুল করে থাকেন।
২. দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব যায় অনেক সময় যা লজ্জায় নারীরা কাউকে বলেন না। স্বামীর সঙ্গে মেলামেশায়ও রক্ত বের হয়।
৩. যৌন সম্পর্কের সময় ব্যথা অনুভূত হয়।
৪. স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় পিরিয়ড হয়।
৫. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা ফুলে থাকে।
৬. সারাক্ষণ বমি বমি ভাব কিংবা বারবার বমি হয়।
রোগ নির্ণয়- কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না। ভিনেগার বা সিরকা তুলায় নিয়ে জরায়ুর মুখে লাগিয়ে এক মিনিট রেখে দিলে জায়গাটা যদি সাদা হয়ে যায় তখন মনে করতে হবে এটি ক্যান্সারের পূর্বাভাস।