অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর।। আন্তর্জাতিক ঋণ প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চারজনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিক। সাইবারাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে কুভেবো টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কল সেন্টারে হানা দিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
চারজনের মধ্যে একজন চিনের নাগরিক। সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংস্থার সদর দফতর দিল্লিতে। যার নাম স্কাইলাইন ইনোভেশন টেকনোলজিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার দুইজন ডিরেক্টর হলেন জিকসিয়া ঝাং ও উমাপতি অজয়। এই দু’জন ১১টি লোন অ্যাপ তৈরি করে।
এই লোন অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত মানুষকে। তবে সেই লোন পরিশোধ করার সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে মানুষের কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করত এই সংস্থা। এমনকি কেউ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে দেরি করলে তাকে ভয় দেখান থেকে শুরু করে নানাভাবে হেনস্থা করা হত।
গত কয়েক মাসে সাইবারাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ওই সংস্থার জালিয়াতি চক্রের হদিশ মেলে। সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থার দুই ডিরেক্টর পালিয়ে গিয়েছে। যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে একজন চিনের নাগরিক রয়েছেন।
তার নাম বাই ডেনিস। ওই ব্যক্তি সাংহাইয়ের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে দিল্লিতে থাকেন। ধৃত অপর তিনজনের মধ্যে একজন দিল্লির অন্য দু’জন হায়দরাবাদের বাসিন্দা। পুলিশ আরও জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই লোন অ্যাপগুলি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর তারা চড়া সুদে মানুষকে ঋণ দিত।
সেই ঋণের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্যই তারা বিভিন্ন জায়গায় চারটি কল সেন্টার খুলেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ সংস্থার অফিস থেকে দুটি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি ফোন ও নগদ দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে।