অনলাইন ডেস্ক, ২৬ ডিসেম্বর।। চাকরি জীবনে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা জরুরি। দিনের একটা বড় সময় তাদের সঙ্গে থাকায় বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের বিকল্পও নেই। তবে সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় কিছুটা সাবধানী হতে হবে। হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে এ ধরনের সাতটি বিষয় তুলে ধরা হলো-
সাবেক কর্মক্ষেত্রকে কতটা ঘৃণা করেন- আগের কর্মক্ষেত্র বা পেশায় বাজে ঘটনার শিকার হয়ে থাকতে পারেন। বিষয়টি আপনার জন্য যতই পীড়াদায়ক হোক নতুন কর্মক্ষেত্রে কখনোই তা নেতিবাচকভাবে তুলে ধরবেন না। ওয়ার্কস্মার্ট সিস্টেমসের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জ্যাসন কার্নি বলেন, এটা আপনার নতুন কর্মক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সহকর্মীরা ভাবতে পারেন কাজের ক্ষেত্রে আপনি অতটা দায়িত্বশীল নন। বরং, অন্যকে দোষারোপ করে থাকেন।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি- রাজনীতি নিয়ে অনাগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম। নানাজন নানা মতাদর্শের অনুসারী। তবে অফিসে এ নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়। পরে হিতে বিপরীত হতে পারে। দ্য ব্রিফকেস কোচের প্রতিষ্ঠাতা সারাহ জনস্টনের মতে, অনেকেই ভিন্ন মতের লোকজন পছন্দ করেন না। ফলে সহকর্মীদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় তাই এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
নতুন চাকরি খোঁজা- পছন্দ বা চাহিদা অনুযায়ী নতুন চাকরি খুঁজছেন? সাবধান! ভুলেও এই তথ্য সহকর্মীর কাছে ফাঁস করবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান কর্মক্ষেত্রের প্রতি আপনার নিবেদন-আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। পার্টনারএক্সেকের প্রেসিডেন্ট নিহার কে ছায়া বলেন, আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি এ ধরনের বিষয় জানতে পারেন, তাহলে তিনি আপনার বিশ্বস্ততার বিষয়ে সন্দিহান হবেন। স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটবে এবং অফিসে আপনার গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।
চিকিৎসা- আপনি শারীরিক বা মানসিক কোনো বিষয়ে নিয়মিত চিকিৎসক দেখান। বিষয়টি মানবিক হলেও অফিসে অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই একে কাজের গতি কমে যাওয়ার কারণ বলে মনে করেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দেন ব্র্যান্ডিং এজেন্সি শো-আপের প্রতিষ্ঠাতা আনেত্তি হ্যারিস।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক- প্রেম বা বৈবাহিক জীবন-যাপনের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। এতে অনেক সময়ই গোপনীয়তা ভঙ্গ ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন বলে মনে করেন ওয়েল্থ সাকসেস চেম্বার এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা নিকিতা লরেন্স।
সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- কাজ বা ব্যক্তিগত আচরণের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিংবা কোনো সহকর্মীর বিরুদ্ধে আপনার ক্ষোভ জমতে পারে। বিষয়টি অন্য সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। এ পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন রিজিউমি-গোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার ইয়াং। তিনি বলেন, নয়তো অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনাকে ভালো চোখে দেখবে না।
প্রতিষ্ঠানের নীতির সমালোচনা- সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের কোনো নীতি বা পদ্ধতির সমালোচনা করবেন না। এক্ষেত্রে মিটিং বা অন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় বিষয় তুলে ধরুন যুক্তি দিয়ে। তখন বিষয়টি বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত আলোচনায় এ ধরনের সমালোচনা চাকরিচ্যুতি বা খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন করতে পারে বলে মনে করেন নিহার কে ছায়া।