অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। দিল্লিতে যখন বিক্ষোভে অনড় কৃষকরা, তখন চাপের মুখে নিজেদের কৃষকবন্ধু প্রমাণ করতে তৎপর মোদি সরকার। আজ ছয় রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালে কথা বলে, কেন্দ্রের কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
করলেন বেশ কয়েকটি ঘোষণা। এদিন ৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার পরের কিস্তির ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠান প্রধানমন্ত্রী। সুইচ টিপে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আজ কিষাণ নিধির টাকা সরাসরি পৌঁছয় কৃষকের অ্যাকাউন্টে। ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার বেশি এই প্রকল্পে পেয়েছেন চাষি। কোনও দুর্নীতি, কোনও কাটমানি নেই এর পিছনে।’ এরপরই নির্বাচনী জনসভার ঢঙে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সরাসরি আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমার আফসোস যেখানে পুরো ভারতের কৃষকরা এই যোজনার লাভ পাচ্ছেন সেখানে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সুবিধা পেতে দিচ্ছেন না কৃষকদের।’ মোদি বলেন, ‘বাংলার সরকার নিজের রাজনৈতিক কারণের জন্য ওই রাজ্যের কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দিচ্ছে না।’ মোদির দাবি, প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য লাখ লাখ কৃষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাংলা।
তাতে তিনি রীতিমতো ‘হতবাক’ এবং ‘দুঃখিত’ বলেও জানান। দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন মোদি। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে যে দলের (বাম ও কংগ্রেস) বিরুদ্ধে লড়াই করছে, দিল্লিতে গিয়ে তাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল। এদিন বামেদেরও কড়া আক্রমণ করেন মোদি।
মমতা সরকার যে কিষান-নিধি প্রকল্প চালু করেননি, তা নিয়ে বাংলায় কোনও আক্রমণ গড়ে তোলেনি সেই দল। তাঁর কথায়, ‘কৃষকদের জন্য যখন এত ভালোবাসা, তাহলে তখন নিজেদের ভূমি বাংলায় কৃষকদের ন্যায়ের জন্য, প্রধানমন্ত্রী কিষান-নিধি প্রকল্পের টাকা যাতে কৃষকরা পান, সেজন্য আন্দোলন করেননি কেন?
এরপরই ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কৃষকদের উল্টোপাল্টা বোঝাবেন না। এই সব দল ও আগের সরকারের জন্য কৃষিতে উন্নতি হয়নি। গরিব কৃষক এদের জন্য আরও গরিব হয়েছে। ২০১৪ থেকে আমরা নতুন রণকৌশল নিয়ে কাজ করছি।
সামান্য প্রিমিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার সুবিধা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। ৮৭ হাজার কোটি টাকা বিমার থেকে পেয়েছেন চাষিরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা আগেই বলা হয়েছিল, ফসল বেচার জন্য আজ কৃষকরা বিকল্প মান্ডি পাচ্ছেন কৃষকরা।”