অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়ে করোনাক্রান্ত এক কৃষ্ণাঙ্গ চিকিৎসক মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে এক ভিডিওতে তিনি প্রকাশ করেন, বর্ণ বৈষম্যের কারণে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ডা. সুসান মুর নামে ৫২ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ইন্ডিয়ানাপোলিসের বাসিন্দা। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল নর্থের শয্যায় শুয়ে থাকা অবস্থায় একটি ভিডিও ধারণ করেন ৫২ বছর বয়সী ডা. মুর। সেখানে তিনি উন্নত সেবার জন্য আবেদন জানান।
৪ ডিসেম্বর পোস্ট করা ওই ভিডিওতে তিনি বর্ণনা করেন, কীভাবে তার ব্যথাকে গুরুত্ব দেয়নি শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক। ব্যথার কারণে তিনি তখন কান্না করছিলেন এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়েছিল। করোনাক্রান্ত এ নারী চিকিৎসক বলেন, তিনি (কর্তব্যরত চিকিৎসক) আমার ফুসফুস পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখেননি।
তিনি একবারও আমার স্পর্শ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রে বরাবরই বর্ণ বৈষম্যের শিকার কৃষ্ণাঙ্গরা। যার জেরে চলতি বছর দেশটি টানা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কেঁপে ওঠে। এরপরেও মহামারিতে বর্ণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গরা। ভাইরাসটিতে তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বিপুল। এদিকে চিকিৎসা সেবা দিতে বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারা রোগীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনো রোগের নাম উল্লেখ করেনি। মৃত্যুর সময় ১৯ বছর বয়সী এক ছেলে ও মা-বাবাকে রেখে যান ডা. মুর। পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দিতে গো ফান্ড মি নামে একটি পেজ কাজ করছে। যাদের কাছে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২ হাজার ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।
শুরু থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার।