অনলাইন ডেস্ক, ২৪ ডিসেম্বর।। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আবার শারজায় তাঁর শেষ বলেই ছয় মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। এমনই দুই বিপরীতমুখী ঘটনার কেন্দ্রে যিনি ছিলেন, সেই চেতন শর্মাকে জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হল। বৃহস্পতিবার বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাঁর সঙ্গেই নির্বাচক হিসেবে মনোনীত করা হল প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবাশিস মোহান্তি এবং অ্যাবে কুরুভিল্লাকে।
ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির তিন সদস্য মদন লাল, রুদ্রপ্রতাপ সিং এবং সুলক্ষ্মণা নায়েক আলোচনার পরে এঁদের নাম বেছে নেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুবাদে চেতনকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। তিনি এলেন সুনীল যোশীর জায়গায়। মোহান্তি পূর্বাঞ্চল থেকে এলেন দেবাং গান্ধীর জায়গায়। পশ্চিমাঞ্চল থেকে কুরুভিল্লা এলেন যতীন পরাঞ্জপের পরিবর্তে। বাকি দুই নির্বাচক হিসেবে যোশী এবং হরবিন্দর সিং।
এক বছরের জন্য এঁদের নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি বোর্ডের পক্ষ থেকে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে খুশি প্রাক্তন পেসার চেতন শর্মা। দেশের হয়ে ২৩টি টেস্ট এবং ৬৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা, ৫৪ বছরের প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বলেছেন, “এই সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে নিঃসন্দেহে সম্মানের। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে নতুন ভাবে কাজ করতে চাই। আমি কথায় বেশি বিশ্বাস রাখি না, আমার কাজই হবে নিজের পরিচয়। খবরে প্রকাশ চেয়ারম্যান পদের জন্য আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার অজিত আগরকরও।
কিন্তু তাঁকে সমর্থন করেনি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। এর আগে তিনি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচক কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দায়িত্ব সেই কাজ করেননি। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যর্থ হয়েছে তাঁর রাজ্য দল। এছাড়াও নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মনিন্দর সিং, নিখিল চোপড়া, অজয় রাত্রা, বিজয় দাহিয়া, রণদেব বসু, শিবসুন্দর দাশ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে থেকে দেবাশিস মোহান্তি এবং কুরুভিল্লাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।