জেটলির মূর্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ বেদী ছেড়েই দিলেন ডিডিসিএ-র সদস্যপদ

অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। জয় শাহকে বোর্ডের সচিব পদে বসিয়ে ক্রিকেটে গৈরিকীকরণ আগেই শুরু করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু বাধ সাধলেন বিষেণ সিং বেদী। ফিরোজ শা কোটলা স্টেডিয়ামে প্রাক্তন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)। আর সেই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সদস্যপদ ছাড়লেন। তারই সঙ্গে ডিডিসিএ কর্তাদের জানিয়ে দিলেন, কোটলার স্ট্যান্ড থেকে তাঁর নাম যেন অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা হয়। গত মাসেই ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে জেটলির ছেলে রোহন।

তাঁকে লেখা চিঠিতে বেদী বলেছেন, “প্রথম যে দিন ফিরোজ শা কোটলা স্টেডিয়ামের নাম রাতারাতি অরুণ জেটলির নামে তড়িঘড়ি ঘোষণা করে দেওয়া হল,  সে দিন ভেবেছিলাম হয়তো একদিন সেই সময় আসবে, যখন ডিডিসিএ কর্তাদের চেতনা হবে। হয়তো তাদের মধ্যেও শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু আমার ভাবনা যে কতটা ভুল ছিল, আজ উপলব্ধি করছি। এখন কোটলায় বসবে জেটলির মূর্তি! আমি ডিডিসিএ কর্তাদের সামনে অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মনে হচ্ছে, ওরা আমার আরও পরীক্ষা নিতে চাইছে। কিন্তু আর পারলাম না। বাধ্য হয়ে সদস্যপদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।” তিনি চিঠিতে আরও লিখেছেন, “মিস্টার প্রেসিডেন্টের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, দয়া করে কোটলার স্ট্যান্ড থেকে আমার নাম সরিয়ে নেওয়া হোক।

একটু গুগল সার্চ করলেই দেখতে পাবেন, জেটলি ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট থাকার সময় এই সংস্থা আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। হতে পারেন উনি খুব ভাল এক ক্রিকেটের ভক্ত ছিলেন, কিন্তু তাঁর ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পিছনের দুর্বোধ্য এবং ঘোলাটে কারণটা কিন্তু এখনও স্পষ্ট হয়নি। আমি মনে করি, ব্যর্থ মানুষদের কখনও প্রেরণা বা স্মরণীয় বলে পরিচিতি দিতে যাওয়া ঠিক নয়। তাতে সেই লোকগুলোকে মানুষ আরও তাড়াতাড়ি মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে।” তিনি যোগ করেছেন, “আমি বরাবর মাথা উঁচু করে চলার পক্ষে।

হতে পারে সেটা সাবেক আমলের একটা ভাবনা, তবে সেটা নিয়েই থাকতে চাই। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোর কোনও ইচ্ছা নেই আমার। সেই শিক্ষা আমি কখনও পাইনি। নিজের অবস্থানেই অনড় থাকতে চাই।” বেদীর চিঠি নিয়ে ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলি বলেছেন, “উনি নিজের মতামত জানিয়েছেন। আমি তো কাউকে থামিয়ে দিতে পারি না। তবে ডিডিসিএ-র অন্যান্য সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছেন এখানা বাবার একটি মূর্তি বসানোর। সেটা নিয়ে যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। আমি কারও উপরে প্রভাব বিস্তার করে নিজের অনুকূলে রায় আদায় করে নিতে পারি না।”

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?