অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। কৃষক আন্দোলন তখনও সেভাবে দানা বাঁধেনি। সবেমাত্র সংসদের উভয় কক্ষে তিন কৃষি বিল পাস হয়েছে। সে সময় নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রাহুল পথে নেমে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা বন্ধ করে দেন।কিন্তু তারপরই মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কৃষকরা। রাহুল টুইট করে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আইনের প্রতিবাদ জানালেও সেভাবে আর পথে নামেননি। দূর থেকেই তিনি কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে গিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত রাহুল কৃষকদের এই আন্দোলনের জন্য ফের পথে নামছেন। বৃহস্পতিবার রাহুল নতুন কৃষি আইন বাতিলের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে।
মোদি সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কংগ্রেস সই সংগ্রহ করেছে। দুই কোটি মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজটি রাহুল তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে। কৃষকদের স্বার্থে মোদি সরকার যাতে ওই তিন আইন ফিরিয়ে নেয় সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন তিনি।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই তিন কৃষি আইনকে সামনে রেখে মোদি সরকারকে চেপে ধরার যে সুযোগ সামনে এসেছে এবার তার সদ্ব্যবহার করতে চান রাহুল। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন। কারণ কৃষক আন্দোলন শুরু করলেও মাঝপথে তিনি সেখান থেকে সরে যান। তিনি যদি আগাগোড়া পথে নেমে কৃষকদের সঙ্গে আন্দোলন করতেন তবে তা এক অন্য মাত্রা পেত। আসলে কংগ্রেস এই মুহূর্তে নেতৃত্ব হীনতায় ভুগছে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মত বা দিশা দেখানোর মত কোনও মানুষ কংগ্রেসে নেই। সে কারণেই মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলার একাধিক সুযোগ সামনে এলেও তার সদ্ব্যবহার করতে পারছে না কংগ্রেস।