অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন দুবাইয়ে বসবাস করেন নবনীত সঞ্জীবন। নবনীত আদতে কেরলের বাসিন্দা। করোনাজনিত কারণে হঠাৎই দুবাইয়ে তাঁর চাকরিটি যায়। নতুন চাকরি পেতে বিভিন্ন সংস্থায় ইন্টারভিউ দিয়ে চলেছেন নবনীত। তবে সব সংস্থাই করোনাজনিত কারণে ধুঁকছে। সে কারণে এখনও নতুন কোনও চাকরি পাননি তিনি।২২ নভেম্বর একটি সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন নবনীত। সেখান থেকে ফেরার পথে হঠাৎই কিনেছিলেন একটি লটারির টিকিট। তবে টিকিট কাটার সময় তিনি পুরস্কার পাওয়ার কথা চিন্তাও করেননি। বরং মনে করছিলেন, দুবাইয়ে নতুন কোনও চাকরি না পেলে তিনি কেরলেই ফিরে যাবেন।
শেষ পর্যন্ত লাকি ড্রয়ে বিজয়ী হন নবনীত। বিজয়ী হয়ে নবনীত পাচ্ছেন এক মিলিয়ন ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে সাত কোটি টাকা। তবে পুরো টাকা নবনীত একা পাবেন না। আরও তিনজনের সঙ্গে তাঁকে এই টাকা ভাগ করে নিতে হবে। তবে তাতেও তিনি যে টাকা পাবেন সেটা কম কিছু নয়। হঠাৎ করেই এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা পুরস্কার হিসেবে পাওয়ায় স্পষ্টতই খুশি নবনীত। এই তরুণ জানিয়েছেন, তাঁর এক লক্ষ টাকা ঋণ আছে। পুরস্কারের অর্থ পেলে প্রথমেই তিনি সেই ঋণ শোধ করবেন। বাকি টাকা ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখবেন। এই টাকা দিয়ে একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনাও আছে তাঁর।
তবে নবনীত প্রথম নয়, এর আগেও বহু ভারতীয় দুবাইয়ের লটারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা জিতেছেন। দুবাইয়ে বসবাসরত ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি লটারি টিকিট কেনেন বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে নবনীত হলেন ১৭১ তম ভারতীয় যিনি এই বিপুল অঙ্কের পুরস্কার জিতলেন। চলতি বছরের মাঝামাঝি জর্জ জ্যাকবস নামে এক ভারতীয় আবুধাবিতে ২৪ কোটি টাকার লটারি জিতেছেন। করোনাজনিত লকডাউনের ফলে জর্জও বিপুল আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।