অনলাইন ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর।। আর্থিক তছরুপের জন্য আগেই তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বহিষ্কার করেছিল ফিফা। কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারকে। জুরিখে জাদুঘর তৈরি নিয়ে আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবং মজার বিষয় হল, বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাই এবার ব্লাটারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, জাদুঘর তৈরি নিয়ে যে প্রকল্প শুরু হয়েছিল, তাতে প্রচুর পরিমাণ আর্থিক অসঙ্গতির ঘটনা সামনে এসেছে, যা নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এবং সেই সময় যাঁরা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠেছে ফৌজদারি অভিযোগ।
মূলত এই জাদুঘর তৈরি করার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল ব্লাটারের। ফলে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি সন্দেহভাজন বলে মনে করা হচ্ছে। চার বছর আগে ফিফার এই জাদুঘরের উন্মোচন হয়। তা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১০৩৪ কোটি টাকা। ১৯৭০ সালের ভবনটিরই সংস্কার করে তাকে জাদুঘরের রূপ দেওয়া হয়। এবং তারই সঙ্গে ভাড়া দেওয়া হয় ৩৪টি ঘর। আর প্রশ্ন উঠেছে সেই ৩৪টি মহার্ঘ অ্যাপার্টমেন্ট নিয়েই। সেই সময় ফিফার পক্ষ থেকে ব্লাটার নিজের দায়িত্বে ওই অ্যাপার্টমেন্টগুলির মালিককে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিনিময়ে ওই মালিককে দিতে হয় ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬৫৯ কোটি টাকা।
ফিফার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে,বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ সেই সময় নেওয়া হয়েছিল এবং তাতে সম্মতি ছিল ব্লাটারের। ফিফার ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারাল আলাসদায়ির বেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অডিট রিপোর্টে গোটা প্রকল্প নিয়ে বিশাল আর্থিক বেনিয়মের ঘটনা সামনে চলে এসেছে। এটাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই আরও বিশদে তদন্ত করার জন্য ব্লাটারকে জেরা করার কথাও ভাবা হচ্ছে।” যদিও ব্লাটারের আইনজীবী আগের মতোই ফের জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগ নেই। তিনি নিরপরাধ। ভিত্তিহীন অভিযোগ করে ব্লাটারকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাতেও ব্লাটার জেরার হাত থেকে মুক্তি পাবেন বলে মনে হচ্ছে না।