অনলাইন ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বর।। ভারত ও ভিয়েতনাম দুই দেশের কাছেই ‘সাধারণ শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত চিন। এই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভারত ও ভিয়েতনাম পরস্পরের কাছাকাছি এল। সোমবার দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকেই দু’দেশের মধ্যে সাত দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি রূপায়নের দিকে আরও এক পা অগ্রসর হল। পরমাণু শক্তি, প্রতিরক্ষা, পেট্রোকেমিক্যাল, ক্যান্সারের চিকিৎসা, সন্ত্রাস দমনের মত একাধিক বিষয় নিয়ে এই চুক্তিগুলি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিনের বৈঠকে ভিয়েতনামকে অন্যতম সেরা বন্ধু উল্লেখ করেন। যথারীতি এ দিনের বৈঠকে তিনি ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নিউজেন হুয়ান ফকু। দুই নেতা দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন।
এদিনের এই আলোচনায় ভিয়েতনামকে ১০ কোটি ডলার সাহায্যের ঘোষণা করেন মোদি।বৈঠক শেষে দু’দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে ভিয়েতনামের নৌবাহিনীকে সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাহায্যের অঙ্গ হিসেবেই এই রাষ্ট্রকে অত্যাধুনিক পাঁচটি বোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভিয়েতনামের সঙ্গে এই প্রথম বৈঠক হলেও ভারতের।
এদিনের বৈঠক ১০০ শতাংশ সফল বলে দুই দেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।উল্লেখ্য, লাদাখে সীমান্ত ইস্যুতে যখন ভারত ও চিনের মধ্যে প্রবল সংঘাত চলছে তখন এই চুক্তি নিঃসন্দেহে অতিগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক মহল স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে আজকের এই সাত দফা চুক্তি নিশ্চিত ভাবেই চিনকে আরও চাপে ফেলবে।
ভারতের মতই ভিয়েতনামের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে চিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বন্দ্বই ভারত ও ভিয়েতনামকে কাছাকাছি এনেছে এবং চিনের বিরুদ্ধে একজোট করেছে। যা অবশ্যই বেজিংয়ের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াবে।