অনলাইন ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বর।। আমাদের নাকের স্নায়ু কেন্দ্রগুলো খুবই সূক্ষ্ম। শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কোনো বস্তু প্রবেশ করার চেষ্টা করলেই তা বাধাগ্রস্ত হয় এবং এর ফলেই হাঁচি হয়। হাঁচি শরীরের পক্ষে ভালো, কারণ এর ফলে শরীরের ভেতরের জীবাণু বের হয়ে যায়।
আপনি খুব করে চাইছেন একবার হাঁচি দিতে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও পারছেন না! এমন অনুভূতি সবারই হয় নিশ্চয়? তখন কি এটাকে জগতের সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় বলে মনে হয়নি? কিছু লোক এই বিরক্তি থেকে বাঁচতে কাগজ পেঁচিয়ে, কলম বা অন্য কিছু নাকের মধ্যে ঢুকিয়ে হাঁচি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে।
হাঁচি দিতে না পারার অভিজ্ঞতা এবং দেওয়ার পরের অভিজ্ঞতার সঙ্গে আসলে তুলনা চলে না। কিন্তু, কেন এই হাঁচি এত আরামের? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি আমাদের শ্বাসযন্ত্রের অনেকগুলো প্রতিরক্ষা কবচের একটি।
যখন আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপরিভাগে কোনো কিছু ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে এবং চাপ দেয়, তখন শ্বাসযন্ত্র বাতাস ফুসফুসে ঢুকিয়ে তা প্রবল বেগে বের করে দেয়। এই প্রবল বেগে বাতাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওই অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা চাপও বেরিয়ে যায়।
আর এই চাপমুক্ত হলেই মিলে শান্তি। বিষয়টা অনেকটা কয়েক ঘণ্টা প্রসাবের বেগ চাপিয়ে রেখে প্রসাব করতে পারার মতো আরামের। কিন্তু কথা হচ্ছে- কেন একবারেই আমরা অনেকগুলো হাঁচি দিয়ে থাকি?
আমাদের অনেকেরই একসময়েই একের অধিকবার হাঁচি আসে। কারণ, এটি যখন আসতে থাকে তখন তাকে আর থামানো যায় না। আমাদের মস্তিস্ক বারবার বার্তা পাঠাতে থাকে যে নাকের মধ্যে বিরক্তিকর কিছু ঘটতে যাচ্ছে, তাই আমরা বারবার হাঁচি দিতে থাকি।