স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২০ ডিসেম্বর।। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি জনজাতির মানুষদের নিয়ে রাজ্যে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে। ভাওতাবাজি করে নিজেদের অনুকূলে আনতে চাইছে সে সব রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস একমাত্র দল যারা সাংবিধানিকভাবে জনজাতিদের রক্ষার কবচ দিতে চেয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জনজাতিদের সংস্কৃতি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পঞ্চশীল নীতি এনেছিলেন। জনজাতিদের সংস্কৃতি, পোশাক, ভাষা রক্ষা করতে আইন প্রণয়ন করেছিল। এবং জন জাতিদের সম্পত্তি রক্ষা করতে আইনে সংশোধনের এনেছিলেন।
আর যে সমস্ত উপজাতিদের সম্পদ অউপজাতিদের কাছে হস্তান্তর হয়ে গেছে, তাদের জমির পুনরুদ্ধার করা এবং উপজাতিদের কোন জমি বিক্রি করার সময় যাতে কেউ ঠকিয়ে দিতে না পারে তার জন্য জেলাশাসকের অনুমতি নির্দেশিকা লাগু করা হয়েছিল।পাশাপাশি বনের অধিকার, বাঁচার অধিকার করেছিল। আর সেসব বিষয়ে অবগত করতে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের উপজাতি অংশের নেতৃত্বদের নিয়ে লিডারশিপ ডেভেলোপমেন্ট নামে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। তিনি আরো জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ত্রিপুরা রাজ্যের এস টি -দের আওয়াজ যাতে বিধানসভা পর্যন্ত পৌঁছায় তার জন্য তিনি বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৭ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ টি করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উপজাতিদের প্রকল্পের নাম করে ভাওতাবাজি করতে চাইছে। কিন্তু প্রকল্প আজ আছে কাল নাও থাকতে পারে। সেসব বিষয়ে উপজাতি অংশের মানুষকে সরব করতে এই লিডারশিপ ডেভেলোপমেন্ট প্রশিক্ষণ শিবির বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এই সরকার ৩৪ মাসে প্রতিশ্রুতি পালন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই নির্বাচন এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। সরকার পুরোপুরি ভাবে অবহিত আছে তারা এ ডি সি নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে পরাজয় হবে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস বসে থাকবে না। জানুয়ারি মাসে কংগ্রেস দল হাইকোর্টে যাবে। যাতে সরকার অতিসত্বর এ ডি সি নির্বাচন সম্পন্ন করে।