অনলাইন ডেস্ক, ১৯ ডিসেম্বর।। শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় সেনা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুই প্রতিনিধি। তাঁরা যখন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখছিলেন সে সময় তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। ঘটনার সময় রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুই প্রতিনিধি গাড়িতে না থাকায় তাঁরা ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তবে চিড় ধরেছে গাড়ির কাচে। ওই ঘটনার পরই পাকিস্তান একাধিকবার ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত বিনা প্ররোচনায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধিদের গাড়ির উপর গুলি চালিয়েছে। যদিও ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
শনিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের ডেপুটি স্পোকপার্সন ফারহান হক বলেন, তাঁদের দুই প্রতিনিধির গাড়ির উপর কোন একটা ভারি বস্তুর আঘাত লেগেছে। সেটা ঠিক কী তা এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তদন্তের কাজ শেষ হলেই বোঝা যাবে কে বা কোথা থেকে এসেছে ওই বস্তুটি। হক আরও বলেন, পাকিস্তান এ ব্যাপারে ভারতকে অভিযুক্ত করলেও সেটা ঠিক না। এ ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগাযোগ নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এভাবে সরাসরি পাকিস্তানের অভিযোগ খণ্ডন করে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। ভারত অবশ্য আগেই পাকিস্তানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ঘটনার তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কে এবং কীভাবে এই আক্রমণ চালিয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘ ভারতের বক্তব্যকেই মান্যতা দিল।