অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। সাত বছরের ইশান্ত পড়াশোনায় অমনোযোগী। পরীক্ষায় ফেল করে, বাবা-মার কথা শোনায় আগ্রহ নেই, সমবয়সী অন্য ছেলেদের সঙ্গে মিশতে পারে না। বাবা-মায়ের শাসন আর শিক্ষকদের বকা তার নিত্যসঙ্গী। এরপর ইশান্তকে একটা আবাসিক স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।বোর্ডিং স্কুলের শিক্ষকরাও তাকে উপহাস করেন, শারীরিক শাস্তিও জোটে। ঠিক এমন সময়ে আমির খানের আগমন। পাল্টে যায় ইশান্তের জীবন।
উপরের গল্পটি পরিচিত লাগছে? হুমম, ঠিকই ধরেছেন। বিখ্যাত মুভি ‘তারে জামিন পার’ থেকে নেওয়া। ছবিতে ইশান্তের কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। আমাদের আশপাশে অনেক ইশান্ত আছে, যাদের সমস্যা না থাকলেও সবার কাছে ‘খারাপ সন্তান’ হিসেবে পরিচিত পেয়ে যায়। এমনকি মা-বাবাও তাদের জন্য নিজেদের ব্যর্থ ভাবতে শুরু করেন।
আপনি যদি এমন অভিভাবক হন, তবে এই লেখা আপনার জন্য। অবাধ্য শিশুকে বাধ্য করতে শাসনে খুব একটা কাজ হয় না। তাকে বুঝতে হয়। ভালোবাসতে হয়। সেরাটা বের করে আনতে হয়।
যে পৃথিবীতে যেভাবে এসেছে, সেভাবে তাকে গ্রহণ করুন। তার ত্রুটিগুলো মেনে নিন। সেগুলোকে তার শক্তিশালী দিক করে তুলুন। আপনার এবং আপনার শিশুর পৃথিবীটাই পাল্টে যাবে।
শিশু ভালো আচরণ করলে তাকে পুরস্কৃত করুন। যেমন- আদর করুন, প্রশংসা করুন, পছন্দের জিনিস কিনে দিন। শিশুদের পছন্দমতো খাবার দেওয়া, খেলনা কিনে দেওয়া, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, আদর এসবই পুরস্কার হিসেবে কাজ করে। ভালো আচরণে পুরস্কৃত করলে এই ধরনের আচরণের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
যতটা সম্ভব শিশুর খারাপ আচরণ উপেক্ষা করুন। কোনো ধরনের মনোযোগ না পেলে খারাপ আচরণ কমে যাবে।
শিশু-কিশোররা হুমকি দিয়ে বা খারাপ আচরণ করে যাতে লাভবান না হয় তা নিশ্চিত করুন। যেমন- হুমকি দিলেও তার হুমকির কাছে নতি স্বীকার করে তার চাহিদা পূরণ করবেন না।
ছোটবেলা থেকেই শারীরিক ও দলীয় খেলায় শিশুকে উৎসাহিত করুন। শিশুর বিকাশে খেলার গুরুত্ব অনেক। বয়স উপযোগী খেলার ব্যবস্থা করুন। খেললে খারাপ আচরণ করার জন্য শিশু কম সময় পাবে।