অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দেশের বাজারে করোনার টিকা এসে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি মত কিছু দিনের মধ্যেই দেশে করোনার টিকা বন্টনের কাজ শুরু হবে। টিকা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে নিজের নাম নথিভুক্ত করা আবশ্যিক।
যে সমস্ত মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে তারা তো বটেই বাকি মানুষকেও টিকা নিতে হলে নিজের নাম পরিচয় ও অন্যান্য বেশ কিছু তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুক্রবার তা বিস্তারিত জানিয়ে দিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। যার মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারি পড়ুয়ারা। পরের ধাপে টিকা পাবেন পুলিশ, প্রশাসন ও পুরসভার কর্মীরা।
তৃতীয় ধাপে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি। চতুর্থ পর্যায়ে থাকবে যারা কোমবিডিটির রোগী এবং ৫০ বছরের কম বয়সি যাদের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের মত রোগ আছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যারা টিকা পাবেন নাম নথিভুক্ত করার জন্য তাদের নিজেদের পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
সাধারণ মানুষকে পাসপোর্ট সাইজের ফটো সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স, মনরেগা প্রকল্পে প্রাপ্ত জব কার্ড, প্যান কার্ড, পাসবুক, পাসপোর্ট, পেনশনের নথিপত্র, যেখানে চাকরি করেন সেখানকার পরিচয় পত্র, ভোটার কার্ড ইত্যাদি দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। টিকা নেওয়ার আগে প্রত্যেকের মোবাইলে এসএমএস আসবে। সেখানে টিকা নেওয়ার দিন, সময় ও জায়গা জানানো হবে।
টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। দু’টি ডোজ নেওয়া হলে মোবাইলেই সংশাপত্রের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।সেখানে থাকবে একটি কিউআর কোড। ওই কোড স্ক্যান করলেই বোঝা যাবে কোনও ব্যক্তি কবে টিকা নিয়েছেন, কোন টিকার ডোজ পেয়েছেন এবং কোন শিবিরে তাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
টিকা নেওয়ার পর কোনও রকম শারীরিক অস্বস্তি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী বা ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রাখতে ‘অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোইং ইমিউনাইজেশন’ প্রোগ্রাম দেশজুড়ে শুরু করা হবে। টিকাকরণের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন বিষয়ের উপর নজর রাখতে চাইছে।
টিকা নেওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা, শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কিনা তাও লক্ষ রাখবে সরকার। এ জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।